“মান্যবর

শ্রীযুক্ত বাবু বিজয়মাধব মিত্র

                   মহাশয় সমীপেষু।”

তবে ইহা স্মরণ রাখিতে হইবে যে, “শ্রীযুক্ত বাবু” শিরোনামে এখনকার দিনে কখনও পরিত্যাগ করা যায় না। কেবল অধ্যাপক, গুরু পুরোহিত প্রভৃতিকে লিখিতে “বাবু” শব্দ ত্যাগ করিতে হয়। স্ত্রীলোককে লিখিতে গেলে, সধবা বা কুমারীকে “শ্রীমতী” লিখিতে হয়। যথা—

“পরমপূজনীয়া

    শ্রীমতী কৃষ্ণমোহিনী দেবী

                   মাতুলানী মহাশয়া শ্রীচরণকমলেষু।”

বিধবাকে “শ্রীযুক্তা” লেখা যায়।

মুসলমানকেও বাবু লেখা নিষিদ্ধ। মুসলমানকে “মৌলবী” বা “মুন্সী” লিখিতে হয়। নামের পর “সাহেব” লিখিতে হয়। যথা—

“মান্যবর

    শ্রীযুক্ত মৌলবী লতাফৎ হোসেন খাঁ

                   সাহেব বরাবরেষু।”

যাঁহাদের কোন উপাধি আছে, যথা রাজা, মহারাজা, রায় বাহাদুর, খাঁ বাহাদুর ইত্যাদি, তাঁহাদের সে উপাধি শিরোনামে লিখিতে হইবে। যথা—

“মহারাজাধিরাজ শ্রীলশ্রীযুক্ত বর্ধমানাধিপতি

                   মহাতাপচন্দ বাহাদুর

                         প্রজাপালকবরেষু।”

“মহামান্য শ্রীযুক্ত অনরেবল্ সর্ আশ্‌লী ইডেন, কে, সি, এস, আই

                                                  বরাবরেষু।”

তার পর, যাহারা সম্বন্ধে ছোট, তাহাদিগকে “আশীর্বাদ” পাঠ লেখা যায়। আশীর্বাদ পাঠ অনেক প্রকার আছে, যথা—

“পরমশুভাশীর্বাদ” ইত্যাদি

“শুভাশিষাং রাশয়ঃ সন্তু।”