রাধারাণী
রা। এই নিন।
বলিয়া রাধারাণী আঁচল হইতে সেই নোটখানি খুলিয়া দেবেন্দ্রনারায়ণের হাতে দিলেন। দেবেন্দ্রনারায়ণ দেখিলেন, তাঁহার হাতে লেখা রাধারাণীর নাম সে নোটে আছে। দেখিয়া বলিলেন, “এ নোট কি রাধারাণীর স্বামী কখনও দেখিয়াছেন?”
রা। রাধারাণী কুমারী। স্বামীর কথাটা আপনাকে মিথ্যা বলিয়াছিলাম।
দে। তা, সব ত শোধ হইল না।
রা। আর কি বাকি?
দে। দুইটা টাকা, আর কাপড়।
রা। সব ঋণ যদি এখন পরিশোধ হয়, তবে আপনি আহার না করিয়া চলিয়া যাইবেন। পাওনা বুঝিয়া পাইলে কোন্ মহাজন বসে? ঋণের সে অংশ ভোজনের পর রাধারাণী পরিশোধ করিবে।
দে। আমার যে এখনও অনেক পাওনা বাকি?
রা। আবার কি?
দে। রাধারাণীকে মন:প্রাণ দিয়াছি–তা ত পাই নাই।
রা। অনেকদিন পাইয়াছেন। রাধারাণীর মন:প্রাণ আপনি অনেকদিন লইয়াছেন–তা সে দেনাটা শোধ-বোধ গিয়াছে।
দে। সুদ কিছু পাই না?
রা। পাইবেন বৈ কি।
দে। কি পাইব?
রা। শুভ লগ্নে সুতহিবুক যোগে কি অধম নারীদেহ আপনাকে দিয়া, রাধারাণী ঋণ হইতে মুক্ত হইবে।
এই বলিয়া রাধারাণী ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল।