সহসা দেখিল          সমুখে সুন্দরী
বিশাল উরস পুরুষ বীর।
রতনের মালা         দুলিতেছে গলে
মাথায় রতন জ্বলিছে স্থির ||
যোড় করি কর,       তারে বিনোদিনী
বলে মহাশয় কর গো ত্রাণ।
না পাই যে পথ        পড়েছি বিপদে
দেখাইয়ে পথ, রাখ হে প্রাণ ||
বলে সে পুরুষ        অমিয় বচনে
আহা মরি, হেন না দেখি রূপ।
এসো এসো ধনি       আমার সঙ্গেতে
আমি আকব্বর-ভারত-ভূপ ||
সহস্র রমণী           রাজার দুলালী
মম আজ্ঞাকারী, চরণ সেবে।
তোমা সমা রূপে     নহে কোন জন,
তব আজ্ঞাকারী আমি হে এবে ||
চল চল ধনি         আমার মন্দিরে
আজি খোষ রোজ সুখের দিন।
এ ভারত ভূমে       কি আছে কামনা
বলিও আমারে, শোধিব ঋণ ||
এত বলি তবে       রাজারাজপতি
বলে মোহিনীরে ধরিল করে।
যূথপতি বল         সে ভূজবিটপে
টুটিল কঙ্কণ তাহার ভরে ||
শূকাল বামার       বদন-নলিনী
ডাকি ত্রাহি ত্রাহি ত্রাহি মে দুর্গে।
ত্রাহি ত্রাহি ত্রাহি     বাঁচাও জননী!
ত্রাহি ত্রাহি ত্রাহি ত্রাহি মে দুর্গে ||
ডাকে কালি কালি       ভৈরবী করালি
কৌষিকি কপালি কর মা ত্রাণ।
অর্পণে অম্বিকে      চামুণ্ডে চণ্ডিকে
বিপদে বালিকে হারায় প্রাণ ||
মানুষের সাধ্য      নহে গো জননি
এ ঘোর বিপদে রক্ষিতে লাজ।
সমর-রঙ্গিণি       অসুর-ঘাতিনি
এ অসুরে নাশি, বাঁচাও আজ ||