একচন্দ্রাননী,           মরাল-গামিনী,
সে রসের হাটে ভ্রমিছে একা।
কিছু নাহি বেচে         কিছু নাহি কিনে,
কাহার(ও) সহিত না করে দেখা ||
প্রভাত-নক্ষত্র            জিনিয়া রূপসী,
দিশাহারা যেন বাজারে ফিরে।
কাণ্ডারী বিহনে          তরণী যেন বা
ভাসিয়া বেড়ায় সাগরনীরে ||
রাজার দুলালী          রাজপুতবালা
চিতোরসম্ভবা কমলকলি।
পতির আদেশে         আসিয়াছে হেথা
সুখের বাজার দেখিবে বলি ||
দেখে শুনে বামা        সুখী না হইল-
বলে ছি ছি এ কি লেগেছে ঠাট।
কুলনারীগণে,           বিকাইতে লাজ
বসিয়াছে ফেঁদে রসের হাট!
ফিরে যাই ঘরে        কি করিব একা
এ রঙ্গসাগরে সাঁতার দিয়ে?
এত বলি সতী         ধীরি ধীরি ধীরি
নির্গমের দ্বারে গেল চলিয়ে ||
নির্গমের পথ           অতি সে কুটিল,
পেঁচে পেঁচে ফিরে, না পায় দিশে।
হায় কি করিনু         বলিয়ে কাঁদিল,
এখন বাহির হইব কিসে?
না জানি বাদশা        কি কল করিল
ধরিতে পিঞ্জরে, কুলের নারী।
না পায় ফিরিতে       নারে বাহিরিতে
নয়নকমলে বহিল বারি ||