পাঠ্যপুস্তক
অভ্যাসার্থ
৫। নীচের লিখিত বিষয়ে বক্তব্য যোগ কর।
দয়াময় ভগবান্। স্নেহময়ী মাতা।
অবোধ শিশু। অন্নহীন ভিক্ষুক।
নিষ্ফল কার্য। স্বচ্ছ সরোবর।
সহজ কাজ। মজবুত বাঁশ।
অন্ধকার রাত্রি। পাকা আটচালা।
“ফলবান্ বৃক্ষ”, “বলবান্ পুরুষ” বলিলে বাক্য সম্পূর্ণ হয় না বটে, কিন্তু যদি বলি “বৃক্ষ ফলবান্”, “মনুষ্য বলবান্”, তাহা হইলে বাক্য সম্পূর্ণ হয়। তাহার কারণ সহজে বুঝিতে পারিবে। “ফলবান্ বৃক্ষই” বিষয় হইল, বক্তব্য নাই। কিন্তু “বৃক্ষ ফলবান্” বলিলে বৃক্ষ বিষয় হইল—ফলবত্ত্বা তাহার বক্তব্য। “বৃক্ষ ফলবান্” এ কথায় এই বুঝায় যে, বৃক্ষে ফল হয়। “মানুষ বলবান্ বলিলে বুঝাইবে, “মানুষের বল আছে।”
দেখ, দুই রকমে এক বক্তব্য প্রকাশ করা যায়। যথা—
[বৃক্ষ
ফলবান্। বৃক্ষে ফল হয়।] |
[মনুষ্য
বলবান্। মানুষের বল আছে।] |
[আকাশ
নির্মল। আকাশের নির্মলতা আছে। আকাশ নির্মল হইয়াছে।] |
[নদী
বেগবতী। নদীর বেগ আছে।] |
“আছে” “হয়” “হইয়াছে” এইগুলিকে ক্রিয়া বলে। যাহাতে একটা কাজ বুঝায়, কিম্বা অবস্থ্যান্তরপ্রাপ্তি বুঝায়, তাহাকেই ক্রিয়া বলে। ধরিল, থাকিল, যাইল, শয়ন করিল, ভক্ষণ করিল, নিবেদন করিল—এ সব ক্রিয়া।
অতএব বক্তব্য দুই প্রকারে প্রকাশ করা যায়, এক প্রকার বিশেষণ দ্বারা, যেমন “বৃক্ষ ফলবান্” ; আর এক প্রকার ক্রিয়া দ্বারা, যেমন—“বৃক্ষে ফল হয়।”
অভ্যাসার্থ
৬। নীচের লিখিত বাক্যগুলির বক্তব্য বিশেষণের দ্বারা বল।
বাঙ্গালির বুদ্ধি আছে। সন্দেশের স্বাদ ভাল লাগে।
ইংরেজের বিদ্যা আছে। বসন্তের বাতাস আস্তে বয়।
মৎস্যে খারাপ গন্ধ পাওয়া যায়। জলে ভিজিলে পীড়া হয়।