অসম্পূর্ণ রচনা
SCENE III
রাজার অন্তঃপুর
দিবা-নিশা
দিবা। রাজা ঢাকায় চলিল কেন ভাই?
নিশা। তোর জন্য ঢাকাই কাপড় আন্তে।
দিবা। আমি ত এমন হুকুম দিই নে, আমার যে ঢাকাই কাপড় আছে।
নিশা। তবে তোর বর আন্তে।
দিবা। কেন এ দেশে কি বর পাওয়া যায় না?
নিশা। এ দেশে তেমন দাড়ি পাওয়া যায় না-তোমাকে একটা নেড়ে বর এনে দেবে।
দিবা। তা তার জন্য আর রাজার নিজে যাবার দরকার কি? আমায় বললে আমি একটা খুঁজে পেতে নিতুম। না হয় গোবিন্দ বখশীকে একটা পরচুলো দাড়ি পরিয়ে ঘরে নিয়ে আসতুম।
নিশা। আচ্ছা, বখশী মশাইকে বলে রাখ্ব।
দিবা। দূর হ পাপিষ্ট-তোর কাছে কোন কথাই বলবার যো নাই। তা যাক্- সত্য সত্য রাজা ঢাকায় চলল কেন?
নিশা। কি জানি কেন-রাজা রাজড়ার মন তুমি আমি কি বুঝ্ব।
দিবা। তা, রাজা কি ফিরিবে না কি?
নিশা। সে কি কথা? অমন কথা মুখে আনতে আছে! দিবা। রাণী কলাবতী অত কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়েছে কেন?
নিশা। স্বামী বিদেশে গেলে একটু কাঁদ্তে হয়।
দিবা। দূর! স্বামী ছেড়ে স্বামীর বাবার জন্য আমি কাঁদি নে।
নিশা। তোর সাত পুরুষের ভিতর স্বামী নাই, তুই আবার কাঁদবি কার জন্য? বরং রাজার জন্য একটু কাঁদিস ত কাঁদ।
দিবা। না ভাই তা পারিব না। বরং মনের দুঃখে বসে বসে লুচি মণ্ডা খাই গে চল।
নিশা। তাও মন্দ নয়।