অসম্পূর্ণ রচনা
SCENE II
রাজার অন্তঃপুর
রাজা রাজেন্দ্র একা
রাজা। কে না জানে আকাশে মেঘ উঠে? তবে কেন এত ভাবি-মেঘ উঠে মেঘ ছাড়ে। এ মেঘও উড়িয়া যাইবে-তবে কেন এত চিন্তা করি? মনে করিয়াছিলাম এ নির্ম্মল আকাশে কখনও বুঝি মেঘ উঠিবে না, আমি মূর্খ তাই এত ভাবি। হায়! কোথা হইতে আবার এ প্রবল শত্রু দেখা দিল?
(কলাবতীর সজ্জিতা সখীদিগের প্রবেশ)
তোরা কেন গো? এত সাজগোজ যে।
দিবা। আমরা নাচব।
রাজা। খানখা নাচবে কেন গো?
নিশা। রাণী কলাবতীর হুকুম। [নৃত্য আরম্ভ]
রাজা। কেন নাচের হুকুম কেন?
দিবা। আগে নাচি। [নৃত্য]
রাজা। আগে বল্।
নিশা। আগে নাচি।
রাজা। আ মর! তোর পা যে থামে না-জোর করে নেচে যাবি নাকি-আমি দেখিব না-এই চোক বুজিলাম। [চোখ বুজিয়া]
দিবা। দেখুন মহারাজ! আপনাকে মুখ ভেঙ্গাচ্চে।
নিশা। দেখুন মহারাজ, আপনাকে কলা দেখাচ্চে।
রাজা। মরগে যা তোরা! আমি চোক চাব না।
নিশা। আচ্ছা কান তো খোলা আছে।
(করতালি দিয়া গীত)
নয়ন মুদিয়া, দেখিনু সজনী,
কানুর কুটিল রূপ।
গলেতে বাঁধিয়া পিরীতি কলসী
সাগরে দিনু যে ডুব।
নয়ন মুদিয়া, দেখিনু সজনী,
কানুর কুটিল রূপ।
গলেতে বাঁধিয়া পিরীতি কলসী
সাগরে দিনু যে ডুব।
রাজা। শুনবো না। [কর্ণে হস্তার্পণ]
দিবা। তবে ফুলের ঘ্রাণ নিন।
(কবরী হইতে পুষ্প লইয়া রাজার নাসিকার নিকট ধারণ)
রাজা। নিঃশ্বাস বন্ধ করিলাম।