অসম্পূর্ণ রচনা
বরদা। সেই কথাই জিজ্ঞাসা করিতেছি, ভূত দেখা, ভূতের শব্দ শুনা, এ সব possible sensation নহে?
সারদা। ভূত থাকিলে possible.
বর। ভূত নাই?
সার। তা ঠিক বলিতেছি না-তবে প্রমাণ নাই বলিয়া ভূতে বিশ্বাস নাই, ইহাই বলিয়াছি।
বর। প্রত্যক্ষ কি প্রমাণ নহে?
সার। আমি কখন ভূত প্রত্যক্ষ করি নাই।
বর। টেমস্ নদী প্রত্যক্ষ করিয়াছ?
সার। না।
বর। টেমস্ নদী আছে মান?
সার। যাহাদের কথায় বিশ্বাস করা যায়, এমন লোক প্রত্যক্ষ করিয়াছে।
বর। ভূতও এমন লোক প্রত্যক্ষ করিয়াছে।
সার। বিশ্বাসযোগ্য এমন কে? এক জনের নাম কর দেখি?
বর। মনে কর, আমি।
এই কথা বলিতে বরদার মুখ কালো হইয়া গেল-শরীর রোমাঞ্চিত হইল।
সার। তুমি?
বর। তা হইলে বিশ্বাস কর।
সার। তুমি একটু imaginative, একটু sentimental-রজ্জুকে সর্প ভ্রম হইতে পারে।
বর। তুমি দেখিবে?
সার। দেখিব না কেন?
বর। আচ্ছা তবে আহার সমাপ্ত করা যাউক।
-‘নারায়ণ’, বৈশাখ ১৩২২, পরিশিষ্ট।