বাল্যরচনা
নায়িকার উক্তি
পয়ার
শুনিয়া শেষের শ্লেষ কুপিল কামিনী,
বিধুমুখে মৃদুরবে কহিল মানিনী।
বরষার ধর্ম্ম যদি বারি বরিষণ,
তবে কেন বলহীন তোমার নয়ন।
দুঃখিনীর দুখতাপে হইয়া সদয়,
তোমার নয়নে কেন বৃষ্টি নাহি হয়।
বিধুমুখে মৃদুরবে কহিল মানিনী।
বরষার ধর্ম্ম যদি বারি বরিষণ,
তবে কেন বলহীন তোমার নয়ন।
দুঃখিনীর দুখতাপে হইয়া সদয়,
তোমার নয়নে কেন বৃষ্টি নাহি হয়।
নায়কের উক্তি
ত্রিপদী
চেও না চেও না আর, অধীনের অশ্রুধার
এক বিন্দু নাহি প্রাণধন,
তোমার মিলন ছেদে, কাঁদিয়া কাঁদিয়া খেদে
নীর-হীন করেছি নয়ন।
নাহি আর জলধার, কোথা বল পাব ধার
প্রেমাধার, ধার বটে ধারি;
প্রাণের সম্বল বল, দুই এক ফোঁটা জল
যদি থাকে, দিতে নাহি পারি।
যেহেতু যখন পুনঃ, তোমার নয়নাগুন
করিবেক দহন আমারে,
নিবারিতে সে অনল, তখন না পেলে জল
প্রাণান্ত হইবে একেবারে।
চেও না চেও না আর, অধীনের অশ্রুধার
এক বিন্দু নাহি প্রাণধন,
তোমার মিলন ছেদে, কাঁদিয়া কাঁদিয়া খেদে
নীর-হীন করেছি নয়ন।
নাহি আর জলধার, কোথা বল পাব ধার
প্রেমাধার, ধার বটে ধারি;
প্রাণের সম্বল বল, দুই এক ফোঁটা জল
যদি থাকে, দিতে নাহি পারি।
যেহেতু যখন পুনঃ, তোমার নয়নাগুন
করিবেক দহন আমারে,
নিবারিতে সে অনল, তখন না পেলে জল
প্রাণান্ত হইবে একেবারে।
পয়ার
শুনিয়া শুনিল না ভামিনী কামিনী,
পূর্ব্ববৎ মৌনভাব রহিল মানিনী।
ঘোমটা টানিয়া দিল মুখের উপরে,
বারিদে বসনে বিধু আচ্ছাদন ক’রে।
পূর্ব্ববৎ মৌনভাব রহিল মানিনী।
ঘোমটা টানিয়া দিল মুখের উপরে,
বারিদে বসনে বিধু আচ্ছাদন ক’রে।
নায়কের পুনরুক্তি
ত্রিপদী
থাক থাক মানে থাক, বদনে বসন রাখ
ঢাক ঢাক শশী ঢাক মেঘে,
দীর্ঘশ্বাস বায়ু মোর, এখনি করিয়া জোর
জলদে উড়াবে অতি বেগে।
থাক থাক মানে থাক, বদনে বসন রাখ
ঢাক ঢাক শশী ঢাক মেঘে,
দীর্ঘশ্বাস বায়ু মোর, এখনি করিয়া জোর
জলদে উড়াবে অতি বেগে।
পয়ার
তবু না কহিল কথা মানিনী রমণী,
হাসিয়া কহিছে শুন কান্ত গুণমণি।
হাসিয়া কহিছে শুন কান্ত গুণমণি।