চট্ট
বুঝেছি চতুর বট, বুদ্ধি ঢের ঘটে।
গালি দিয়ে মুখ চাপা, যুক্তিমত বটে ||
আঙ্গুর হইল টক্, পেলে না নাগাল।
ভয় খেয়ে সভ্য হলে, লিখিবে না গাল ||
যেমন নবোঢ়া হয়ে, রতিরসে বালা।
দুদিন ঠেকিয়ে শিখে, তার যত জ্বালা ||
দিন দুই ঘরে গিয়ে, স্বামিঘর ছাড়ে।
যত আরো পতি সাধে, তত আরো বাড়ে ||
কোলেতে বসায় পতি, উঠে যায় কেঁদে।
সেই রঙ্গ দাদা ভাই, বসিয়াছে ফেঁদে।
ছোঁড়াও তেমন নয়, ধোরে এনে জোরে।
বুক পুরে মনোরথ, লবে পূর্ণ কোরে ||
বুনোকবি
তুমি যে হে বোলেছিলে, কটু কহিবারে।
আমি নাকি পারিনেকো, দেখ এই বারে ||
চট্ট
বটে বটে খুব গালি, মিত্রে দেছ ভাই।
“মলমূত্র” আহারাদি, কিছু বাকি নাই ||
এক জোর ঘায়ে সব, করিয়াছ শেষ।
পাগল বুনোর ঘায়ে, যাব কোন্ দেশ ||
যেমন জনেক মূর্খ, রমণীর স্থান।
অরসিক বোলে কত, হৈল অপমান ||
পিরীতে রমণী দিল, কাণ মূলে তার ||
মূর্খ বলে রসিকতা, শিখেছি এবার ||
কত রস শিখিয়াছি, এই দেখ রামা।
কসালো ছুঁড়ির ঘাড়ে, বারো ইঞ্চি ঝামা ||
সেই রঙ্গ হলো তব, শুন ভাই বুনো।
কবিত্বে বাড়ালে তুমি, গালি দিয়ে দুনো ||
কেবল তোমার মুখে, গালি না যুয়ায়।
কিন্তু হে একটি কথা, জিজ্ঞাসা তোমায় ||
কটুতে অপটু তুমি, বলিয়াছি বটে।
তুমি না জানিলে বলো, কাহার নিকটে ||