যিনি নিজে রামেশ্বর, রসিকের মণি।
ছিল তাঁর কত আর, রসিকা রমণী ||
রুক্মিণী রূপসী রামা, সত্যভামা সতী।
দ্বারকা স্বর্গের সম, ছিল শোভাবতী ||
সে শোভা এখন কোথা, কোথা সেই হরি।
মোহিনী মণ্ডল কোথা, সব গেছে মরি ||
যত ছার পশু পক্ষী, বাসা করে তায়।
শৃগাল কুক্কুরে হাগে, দ্বারকার গায় ||
তাইতে হইল মোর, কবিতার শেষ।
সব কবি
বেশ বেশ বেশ বুনো, বেশ বেশ বেশ ||
কবীশ্বর
ভাল বটে দেখি তব, কবিতার ছটা।
পরে গালি দিতে তবে, এত কেন ঘটা ||
কেহ হোলো অসভ্যের, বল সেনাপতি।
কেহ বা যুদ্ধের মন্ত্রী, নিজে সাধু অতি ||
পর দোষে দেও হাত, নিজ দোষ ঢাকি।
তুমি তো বোসেছ হোয়ে, নিজে জয়ঢাকী ||
বুনোকবি
না প্রভু নাহিক আমি, অসভ্যের কেহ।
পালিত হোয়েছে শুধু, তাঁর অন্নে দেহ ||
ভাল কোরে গালাগালি, দিতে যারে তারে।
আশ্রয় লয়েছি এসে, অসভ্য আগারে ||
কত লোক দিছে কত, মুখে চূণ কালি।
তবু যার তারে দিই, দোহাতিয়া গালি ||
কিন্তু অসভ্যের ছেলে, পাছে কেউ কয়।
পরকে বলেছি তাই, অসভ্য তনয় ||
চট্ট ভাবে দিছে গালি, আমি নহি পটু।
তাকেও বলেছি তায়, গোটা-দুই কটু ||
গেলের বাজারে নাম, লিখেছি রাখিয়া।
চট্ট মিত্র মোর গাল, গিয়াছে খাইয়া ||
কোন মূঢ় বলে ওরে, গালে আমি কম।
তারা জানে গাল মোর, শক্ত কি নরম ||
কিন্তু ভয় করে, পাছে, ফিরে গালি খাই।
হাতে পায় ধোরে মানা, করিয়াছি তাই ||