পরেতে জানিয়া ভাল,     করিছে বিরহ কাল,
কামিনী বদন কাল,        তাই ফিরে আইলে।
ফিরে এলে সিন্ধু হতে,     বলে নর শতে শতে,
যে তুমি এমনি মতে,      সমুদ্রে জন্মাইলে ||
বিধু মুখ মহিলার,         দেখ নাহি ফিরে বার,
নাহি দেখি শোভা তার,   আজো না পলাইলে।
যেতে বলি যতবার,      তত কর অস্বীকার,
বুঝেছি কারণ তার,      জ্বালা পাবে যাইলে।
পয়ার
নাহি ডর শশধর, ধর হে বচন।
চরণে শরণ তার, করিও গ্রহণ।
প্রমদার পদতলে, পড়ি নিরন্তর।
তোমার সদৃশ আছে, দশ শশধর ||
বিশেষতঃ পদ যদি, না পড় প্রথমে।
মুখের সম্মুখে কথা, কহ যদি তমে ||
তখনি ঘটিবে কুহু, যেন নিশাকর।
ললনা ললাটে আছে, সিন্দূর ভাস্কর ||
ত্রিপদী
তাহে যদি বল তবে,     কেন দিন-পতি রবে,
ললনার ললাট উপর।
প্রেয়সীর পদদ্বয়,         সদা কিবা শোভা হয়,
যুগল কমল মনোহর ||
নখর নিকর তায়,        শশী সম শোভা পায়,
কমলের কোলে শশধর।
ক্রোধে রক্ত দিবাপতি,     জানিল অসতী অতি,
পদরূপা নলিনী নিকর ||
ঠেকে শিখে নারী রীতে,   আর পদ্ম আগুলিতে,
বদন কমল কামিনীর।
সিন্দূর বিন্দুর রূপ,          নারী মুখে অপরূপ,
দিনেশ বসিল হয়ে স্থির ||
যদি বল কি প্রকারে,     চিনিবে তুমি হে তারে,
দেখ নাই আগে তো সে জনে।
জান যদি আপনার,          কুমুদিনী প্রেমাধার,
তারে তবে চিনিবে নয়নে ||