বাল্যরচনা
তাই বলি নিশাপতি, রতনে যতনে অতি,
ঝটিতি কর হে দরশন।
এই ভাষা কহ গিয়ে, আশা বিনে ফাটে হিয়ে,
তার লাগি মলো একজন ||
ঝটিতি কর হে দরশন।
এই ভাষা কহ গিয়ে, আশা বিনে ফাটে হিয়ে,
তার লাগি মলো একজন ||
পয়ার
শশি হে বসিয়ে আর, বিলম্ব না কর।
এমন অচল কেন, রও শশধর ||
বুঝেছি বুঝি হে তব, যেই ভাব মনে।
যে কারণে যেতে নারো, নারী নিকেতনে ||
মোহিনীর মুখ রূপ, করি দরশন।
কত লাজ কত জ্বালা, পেয়েছ তখন ||
তত আর নাহি দুখ, অদর্শনে।
সুখেতে আকাশ মাঝে, প্রকাশ আপনে ||
সাধেতে সাধিতে বাদ, আপনার প্রতি।
যাবে না যামিনীনাথ, যথায় যুবতী ||
ইহা যদি নিশানাথ, না মান আপনি।
আদি অন্ত জানি আমি, বলিব এখনি ||
এমন অচল কেন, রও শশধর ||
বুঝেছি বুঝি হে তব, যেই ভাব মনে।
যে কারণে যেতে নারো, নারী নিকেতনে ||
মোহিনীর মুখ রূপ, করি দরশন।
কত লাজ কত জ্বালা, পেয়েছ তখন ||
তত আর নাহি দুখ, অদর্শনে।
সুখেতে আকাশ মাঝে, প্রকাশ আপনে ||
সাধেতে সাধিতে বাদ, আপনার প্রতি।
যাবে না যামিনীনাথ, যথায় যুবতী ||
ইহা যদি নিশানাথ, না মান আপনি।
আদি অন্ত জানি আমি, বলিব এখনি ||
চৌপদী
ললনা লপনে
লাজ, পেয়ে
মানে দ্বিজরাজ,
লুকালে মেঘের মাঝ, ঘোমটা ধরিয়া রে।
এই কথা মূঢ়ে কয়, তাই অমানিশা হয়,
কেহ কহে তাহা নয়, গিয়াছে মরিয়া রে ||
মহিলার মুখাকারে, অভিমানে আপনারে,
একেবারে নাশিবারে, গমন করিয়া রে।
মহেশ ললাট স্থলে, ধিকি ধিকি বহ্নি জ্বলে,
ঝাঁপ দিলে সে অনলে, পরাণ হরিয়া রে ||
বিমল বারিধি জলে, ডুবেছিলে কেহ বলে,
মূঢ়ে বলে বারি তলে, ছায়া সে পড়িয়া রে।
ভয় এই পাছে তায়, কামিনী তথায় যায়,
ছিলে কম্পমান কায়, সলিলে লভিয়া রে ||
লুকালে মেঘের মাঝ, ঘোমটা ধরিয়া রে।
এই কথা মূঢ়ে কয়, তাই অমানিশা হয়,
কেহ কহে তাহা নয়, গিয়াছে মরিয়া রে ||
মহিলার মুখাকারে, অভিমানে আপনারে,
একেবারে নাশিবারে, গমন করিয়া রে।
মহেশ ললাট স্থলে, ধিকি ধিকি বহ্নি জ্বলে,
ঝাঁপ দিলে সে অনলে, পরাণ হরিয়া রে ||
বিমল বারিধি জলে, ডুবেছিলে কেহ বলে,
মূঢ়ে বলে বারি তলে, ছায়া সে পড়িয়া রে।
ভয় এই পাছে তায়, কামিনী তথায় যায়,
ছিলে কম্পমান কায়, সলিলে লভিয়া রে ||