তাই বলি নিশাপতি,    রতনে যতনে অতি,
ঝটিতি কর হে দরশন।
এই ভাষা কহ গিয়ে,  আশা বিনে ফাটে হিয়ে,
তার লাগি মলো একজন ||
পয়ার
শশি হে বসিয়ে আর, বিলম্ব না কর।
এমন অচল কেন, রও শশধর ||
বুঝেছি বুঝি হে তব, যেই ভাব মনে।
যে কারণে যেতে নারো, নারী নিকেতনে ||
মোহিনীর মুখ রূপ, করি দরশন।
কত লাজ কত জ্বালা, পেয়েছ তখন ||
তত আর নাহি দুখ, অদর্শনে।
সুখেতে আকাশ মাঝে, প্রকাশ আপনে ||
সাধেতে সাধিতে বাদ, আপনার প্রতি।
যাবে না যামিনীনাথ, যথায় যুবতী ||
ইহা যদি নিশানাথ, না মান আপনি।
আদি অন্ত জানি আমি, বলিব এখনি ||
চৌপদী
ললনা লপনে লাজ,       পেয়ে মানে দ্বিজরাজ,
লুকালে মেঘের মাঝ,     ঘোমটা ধরিয়া রে।
এই কথা মূঢ়ে কয়,       তাই অমানিশা হয়,
কেহ কহে তাহা নয়,     গিয়াছে মরিয়া রে ||
মহিলার মুখাকারে,       অভিমানে আপনারে,
একেবারে নাশিবারে,     গমন করিয়া রে।
মহেশ ললাট স্থলে,      ধিকি ধিকি বহ্নি জ্বলে,
ঝাঁপ দিলে সে অনলে,    পরাণ হরিয়া রে ||
বিমল বারিধি জলে,       ডুবেছিলে কেহ বলে,
মূঢ়ে বলে বারি তলে,     ছায়া সে পড়িয়া রে।
ভয় এই পাছে তায়,       কামিনী তথায় যায়,
ছিলে কম্পমান কায়,      সলিলে লভিয়া রে ||