তৃণের কুসুম কুঞ্জ,         ললিতা লতিকা পুঞ্জ,
ঘেরি তারে বারি ধারে রয়।
যেমন মলিন শশী,         মলিন বদনে বসি,
দীর্ঘশ্বাসে বিদরে হৃদয় ||
আঁখি হতে বারে বারে,   ধারা বহে ধারে ধারে,
তাহাতে কতই শোভা ধরে।
যেন সে নয়ন জলে,     শশী পশি ছায়া ছলে,
চুম্বন গণ্ডেতে তার করে ||
নিরখি নয়ন ভরি,       মধুর চন্দ্রমাপরি,
শেষে শশী সম্বোধিয়া কয়।
আরে মনোহর শশী,    গগন মণ্ডলে পশি
পার যেতে ত্রিভুবন ময় ||
তাই বলি শশধর,        আমার বচন ধর,
যাও সেই মোহিনীর কাছে।
যার তরে আশা পথে    আরোহিয়া মনোরথে,
আগে মোর পরাণ গিয়াছে ||
পয়ার
কিন্তু রে কি হেরি তোর, হৃদয় মাঝায়।
কি রে সে কালীর রেখা, লেখা দেখা যায় ||
বুঝি মম মনোরমা, ভাবিয়া আমায়।
আসিবার কথা লিখে, দেছে তোর গায় ||
না রে আর কেন মজি, মিছার স্বপনে।
জানি ভাল ভাবে না সে, অনুগত জনে ||
ত্রিপদী
বুঝি মোর দুখে দুখী,     নাহি দেখি বিধুমুখী,
বুঝি চাঁদ করেছ রোদন।
হৃদয়েরি রেখাচয়,       আঁখি ধারা চিহ্ন রয়,
ও যে নহে কলঙ্ক কখন ||
বুঝি তারি দেখা তরে,      আকাশ রোদন করে,
তারারূপ সহস্র নয়নে।
নীহার নয়ন ধারে,      ফেলিছে যতেক তারা,
শত শত বিন্দু বরিষণে ||