বাল্যরচনা
তৃণের কুসুম
কুঞ্জ,
ললিতা লতিকা পুঞ্জ,
ঘেরি তারে বারি ধারে রয়।
যেমন মলিন শশী, মলিন বদনে বসি,
দীর্ঘশ্বাসে বিদরে হৃদয় ||
আঁখি হতে বারে বারে, ধারা বহে ধারে ধারে,
তাহাতে কতই শোভা ধরে।
যেন সে নয়ন জলে, শশী পশি ছায়া ছলে,
চুম্বন গণ্ডেতে তার করে ||
নিরখি নয়ন ভরি, মধুর চন্দ্রমাপরি,
শেষে শশী সম্বোধিয়া কয়।
আরে মনোহর শশী, গগন মণ্ডলে পশি
পার যেতে ত্রিভুবন ময় ||
তাই বলি শশধর, আমার বচন ধর,
যাও সেই মোহিনীর কাছে।
যার তরে আশা পথে আরোহিয়া মনোরথে,
আগে মোর পরাণ গিয়াছে ||
ঘেরি তারে বারি ধারে রয়।
যেমন মলিন শশী, মলিন বদনে বসি,
দীর্ঘশ্বাসে বিদরে হৃদয় ||
আঁখি হতে বারে বারে, ধারা বহে ধারে ধারে,
তাহাতে কতই শোভা ধরে।
যেন সে নয়ন জলে, শশী পশি ছায়া ছলে,
চুম্বন গণ্ডেতে তার করে ||
নিরখি নয়ন ভরি, মধুর চন্দ্রমাপরি,
শেষে শশী সম্বোধিয়া কয়।
আরে মনোহর শশী, গগন মণ্ডলে পশি
পার যেতে ত্রিভুবন ময় ||
তাই বলি শশধর, আমার বচন ধর,
যাও সেই মোহিনীর কাছে।
যার তরে আশা পথে আরোহিয়া মনোরথে,
আগে মোর পরাণ গিয়াছে ||
পয়ার
কিন্তু রে কি হেরি তোর, হৃদয় মাঝায়।
কি রে সে কালীর রেখা, লেখা দেখা যায় ||
বুঝি মম মনোরমা, ভাবিয়া আমায়।
আসিবার কথা লিখে, দেছে তোর গায় ||
না রে আর কেন মজি, মিছার স্বপনে।
জানি ভাল ভাবে না সে, অনুগত জনে ||
কি রে সে কালীর রেখা, লেখা দেখা যায় ||
বুঝি মম মনোরমা, ভাবিয়া আমায়।
আসিবার কথা লিখে, দেছে তোর গায় ||
না রে আর কেন মজি, মিছার স্বপনে।
জানি ভাল ভাবে না সে, অনুগত জনে ||
ত্রিপদী
বুঝি মোর দুখে দুখী, নাহি দেখি
বিধুমুখী,
বুঝি চাঁদ করেছ রোদন।
হৃদয়েরি রেখাচয়, আঁখি ধারা চিহ্ন রয়,
ও যে নহে কলঙ্ক কখন ||
বুঝি তারি দেখা তরে, আকাশ রোদন করে,
তারারূপ সহস্র নয়নে।
নীহার নয়ন ধারে, ফেলিছে যতেক তারা,
শত শত বিন্দু বরিষণে ||
বুঝি চাঁদ করেছ রোদন।
হৃদয়েরি রেখাচয়, আঁখি ধারা চিহ্ন রয়,
ও যে নহে কলঙ্ক কখন ||
বুঝি তারি দেখা তরে, আকাশ রোদন করে,
তারারূপ সহস্র নয়নে।
নীহার নয়ন ধারে, ফেলিছে যতেক তারা,
শত শত বিন্দু বরিষণে ||