তরল তরঙ্গ মেঘ অনল সাগরে।
রবি নিজে নভরাজ দেখাইবে করে।
চঞ্চল সুনীল জলে তরুণ তপন,
       চিকিমিকি চিকিমিকি নাচাইবে কর।
তরুলতা তৃণ মাঝে করিবে তখন,
       ঝিকিমিকি ঝিকিমিকি নীহারনিকর ||
দ্বিপ্রহরে ঘননীল বিমল অম্বরে,
রাগিয়া রহিলে রবি অনলসাগরে,
শ্বেত মেঘ অগ্নি মেখে ফিরিয়া বেড়ায়,
রব তবে অন্ধকার নিকুঞ্জ মাঝায় ||
দীর্ঘ ভীম তরুগণ আচ্ছাদে আধার,
করিবেক চারুলতা স্নিগ্ধ চারি ধার ||
নীরব নিশ্চল দ্বীপে রহিবে সকল।
স্পন্দহীন পত্র আর কুসুমের দল ||
শুনিব গরজে ঘোর তরঙ্গনিকরে।
অথবা বিদরে বন এক পিকস্বরে ||
তরুলতা মাঝে দিয়া বিমল গগন।
কিম্বা জলে রবিকর হবে দরশন ||
কালো জলে ঢাকা দিলে প্রদোষ আঁধার-
অনিবার তরতর বিশাল বিস্তার-
সেই দুঃখস্বরে হৃদি, শিহরি চঞ্চল,
কাঁদিবে; না জানি কেন আঁখিময় জল!
মনে হয় যেন কোন সুখের সঙ্গীত।
নাচাইয়ে হৃদি ডোরে জাগে আচম্বিত ||
আপনি ভাসিবে আঁখি দর দর ধারে।
অনন্ত স্মরিব চেয়ে পয়োধির পারে ||
নবীনা রূপসী একা কাঁপে এক তারা,
        যেন নব প্রণয়িনী প্রণয়সাগরে।
ছেড়ে গেছে কর্ণধার একা পথহারা,
       কত আশা কত ভয়ে কাঁপিছে অন্তরে ||