চারি পাশে গরজিবে ভীষণ তরঙ্গে।
শ্বেত ফেনা শিরোমালা নাচাইব রঙ্গে ||
শিরে মত্ত সমীরণ, শব্দ মিশে তার।
থেকে থেকে রেগে রেগে ছাড়িব হুঙ্কার ||
নিরখিব নীরধারে, ভীষণ ভূধর।
ফুলায়ে বিশাল বক্ষ জলধি উপর ||
তুলিয়া ললাট ভীম প্রবেশে গগনে।
গরজে গভীর স্বরে নব মেঘগণে ||
পদে তার আছাড়িবে প্রমত্ত তরঙ্গ,
বুকে তার প্রহারিবে পাগল পবন।
মহীধর মানিবে না অধমের রঙ্গ,
ললাটের রাগে করি ভয় প্রদর্শন ||
কর্ক্কশ সানুতে তার বিহরি বিজনে।
আ মরি এসব কবে হেরিব নয়নে ||
মোহে মন মজাইবে প্রকৃতি মোহিনী।
জীবন যাইবে যেন স্বপনে যামিনী ||
আলো মাখা কালো বাস ঊষা পরে যবে।
শুনিব সে তরতর জলনিধিরবে ||
দেখিব বিশাল বক্ষ মিলিছে আকাশে।
শ্বেত শশিছায়া নীলে ধীরে ধীরে ভাসে ||
শিহরিবে হৃদি মোর, সে স্নিগ্ধ সমীরে।
পাশে কুঞ্জ লতা ফুল নাচাবে সুধীরে ||
নিরখিব শশী শ্বেত গগনমণ্ডলে।
কত মেঘ বায়ুভরে শ্বেতাকাশে চলে।
গিরিপরে সুখ-তারা নেচে নিবে যায়।
যেন শেষ মন আশা নিরাশা নিবায় ||
নাচাইবে কর তার জলের ভিতর।
তাহারি পানেতে চেয়ে রব নিরন্তর ||
শুনিব সুরব মৃদু সমীরণ করে।
সুধার শিশির মাখা নিকুঞ্জ নিকরে ||
পুলকে দেখিব আমি লোহিত আকাশে।
পয়োধির পাশ থেকে তপন প্রকাশে ||