রাজসিংহ
নির্মলকুমারী বলিল, “ও কি জাঁহাপনা! আরও রাজপুত-মহিষীতে সাধ আছে না কি? তা সে সাধও পরিত্যাগ করিতে হইতেছে। আমি বিবাহিতা, আমার হিন্দু স্বামী জীবিত আছেন |”
ঔ। সে কথা এখন থাক। এখন তুমি কিছু দিন আমার এই রঙমহাল মধ্যে বাস কর। এ হুকুম বোধ করি তুমি অমান্য করিবে না?
নি। কেন আমাকে আটক করিতেছেন?
ঔ। তুমি এখন দেশে গেলে, আমার বিস্তর নিন্দা করিবে। যাহাতে তুমি আমার প্রশংসা করিতে পার, এক্ষণে তোমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করিব। পরে তোমাকে ছাড়িয়া দিব।
নি। যদি আপনি না ছাড়েন, তবে আমার যাইবার সাধ্য নাই। কিন্তু আপনি কয়েকটি কথা প্রতিশ্রুত হইলেই আমি দিন কতক থাকিতে পারি।
ঔ। কি কি কথা?
নি। হিন্দুর অন্নজল ভিন্ন আমি স্পর্শ করিব না।
ঔ। তাহা স্বীকার করিলাম।
নি। কোন মুসলমান আমাকে স্পর্শ করিবে না।
ঔ। তাহাও স্বীকার করিলাম।
নি। আমি কোন রাজপুত বেগমের নিকটে থাকিব।
ঔ। তাহাও হইবে। আমি তোমাকে যোধপুরী বেগমের নিকট রাখিয়া দিব।
নির্মলকুমারীর জন্য বাদশাহ সেইরূপ বন্দোবস্ত করিলেন।