অষ্টম দশা দিনে,      বিরহ বিষাদিনী,
মন দুঃখে কিনিল ইলিশ।
তিতিয়া নয়ন জলে,      ভাজায় ঝোল অম্বলে,
খায় ধনী খান বিশ ত্রিশ ||


নবম দশার দিনে,       পেট ফেঁপে ঢাক হলো,
আইল কানাই কবিরাজ।
সই বল কর্মভোগ,      এ ঘোর বিরহ রোগ,
কবিরাজের নাহি ইথে কাজ ||


দশম দশা দিনে,        বিরহিণী মরে নরে,
আই ঢাই বিছানায় পড়ি।
কাতরে কহিছে সতী,      কোথা পাব প্রাণপতি,
কোথা পাব পাচকের বড়ি ||


বিরহীর দশ দশা,      পন্ পন্ করে মশা,
মাছি উড়ে ছেলে কাঁদে কোলে।
চাকরাণীর চীৎকার,        সইসাঙ্গতির টিট্‌কার,
খেদে কবি ছন্দোবন্ধ ভোলে ||
                  —‘বঙ্গদর্শন’, ফাল্গুন, ১২৭৯