অসম্পূর্ণ রচনা
সুবা। নাচার-আপনাকে অবশ্য অপেক্ষা করিতে হইতেছে। আপনার ফৌজ সকল বিদায় দিন।
রাজা। সে কি আমাকে কয়েদ রাখিতে চাহেন?
সুবা। ও সব কথা কেন? তবে দিনকত আপনাকে এখানে থাকিতে হইবে। দিল্লীর হুকুম না আসিলে ছেড়ে দিতে পারিব না।
রাজা। (স্বগত) হায়! কলাবতী তুমি যা বলিয়াছিলে তাহাই হইল। (সুবাদারকে) যাহা হুকুম হয় তাহাই তামিল করিব।
সুবা। তছলীম। [সুবাদার নিষ্ক্রান্ত]
রাজা। কয়েদই ত হইলাম। প্রমথ-প্রমথ
(প্রমথের প্রবেশ)
আমার আজকাল ফিরিয়া যাওয়া হইতেছে না, তুমি প্রতাপনগরে এই সম্বাদ লইয়া যাও।
প্রমথ। যাইব কি প্রকারে? সকল পথে পাহারা-আমাদের কয়েদ করিয়াছে।
রাজা। আমার শিপাহী সব কোথা?
প্রমথ। নবাবের লোকে তাহাদের হাতিয়ার কাড়িয়া লইয়াছে-তাহাদিগকে প্রতাপনগরে ফিরিয়া যাইবার হুকুম হইয়াছে।
রাজা। ভাল, তাহারাই গিয়া সম্বাদ দিবে।
প্রমথ। দিলেই বা কি হইবে।
SCENE II
কলাবতী-নিশা
কলা। আজ একুশ দিন হইল মহারাজ ঢাকায় গিয়াছেন, আজও কই কোন সম্বাদ ত পাইলাম না।
নিশা। হাঁ রাণীমা, রাজরাণীতেও কি এমনি কর্র্যে দিন গণে?
কলা। কই আমি দিন গণিলাম?
নিশা। কাঁদ কেন মা, আমি ত এমন কিছু বলি নাই।
কলা। নিশা, তুই একবার শহরের ভিতর একটা শিয়ানা লোক পাঠাইতে পারিস্-অবশ্য কেহ কোন সম্বাদ শুনিয়াছে, কেন না ঢাকায় ঢের লোক যায় আসে। আমি এত লোক পাঠাইলাম, কেহ ত ফিরিল না। বোধ হয়, মন্দ সম্বাদই আসিয়াছে-লোকে সাহস করিয়া আমার সাক্ষাতে বলিতে পারিতেছে না।
নিশা। আপনাকে ব্যস্ত দেখিয়া আমি আপনার বুদ্ধিতেই শহরে অনুসন্ধান করিতে লোক পাঠাইয়া দিলাম-কিন্তু-
কলা। কিন্তু কি?
নিশা। লোকে বলে যে মহারাজকে সুবাদার আটক করেছে-অমন কর কেন মা! এই জন্য ত বলি নাই। একটু শোও আমি বাতাস করি। উড়ো কথায় বিশ্বাস কি?