কামিনী
পেয়ে নীরধর নীর,        পূর্ণাকার ধরে নীর,
আহা মরি শোভা তার কত।
জলপূর্ণ সরোবর,         যদ্যপি হে মোহকর,
কমলিনী বিনে শোভা হত ||

পতি
না লো প্রাণ মনোহর,     দেখিতেছি সরোবর,
সরোজিনী সহ শোভা পায়।
ধরণী সলিলাবৃতা,       যেন সরো সুশোভিতা,
তুমি প্রাণ কমলিনী তায় ||

কামিনী
এর বা কারণ কিবা,      এই বরষার দিবা,
দীর্ঘ দেহ করেছে ধারণ।
কমে গেছে তমস্বিনী,    তবু তাহে বিষাদিনী,
বিরহিণী বিনোদিনী গণ ||

পতি
সুমেরু শিখর আর,     ও কুচ ভূধরাকার,
এ তিন শিখর নিরখিয়া।
হইল তপন ব্যস্ত,     কোন্‌টায় যাবে অস্ত,
তাই ভাবে বিলম্ব করিয়া ||
ঘন ঘোর ঘন অতি,       ঢেকেছে যামিনী পতি,
বিরহিনী বিষাদে রজনী।
কেঁদে কেঁদে বুক ফাটি,       দুখে দেহ করে মাটি,
যৌবনেই মরে গেল ধনী ||
 -‘সংবাদ প্রভাকর’, ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৮৫৩
 কালেজীয় কবিতার মারামারি *
* শুনিতে পাই প্রভাকরে না কি দুটো বীর আসিয়া বড় যুদ্ধ আরম্ভ করিয়াছে? একটি না কি আবার আশে পাশে কামড় মারিতে আরম্ভ করিয়াছে, বেশ আমিও একবার এই সময় সাহেবদের সেলাম ঠুকিয়া যাই, কিন্তু নিজে বীর নহি, যুদ্ধ করিব না, চড়টা চাপড়টা মারামারিই ভাল।