বাল্যরচনা
পতি
আ মরি লো এ অধীনে, সেই মত এক দিনে,
ঘটাইলে প্রাণের রতন।
তুমি লো কমলবন, ছয় পদ্ম সুশোভন,
কর পদ হৃদয় বদন ||
যবে প্রিয়ে মান করি, মজাইলে প্রাণেশ্বরি,
লক্ষ্য করি মুখ শতদল।
গিয়ে তার মধুপানে, তৃপ্ত করিবারে প্রাণ,
অপ্রফুল্ল দেখি সে কমল ||
তাহাতে বঞ্চিলে ছলে, যাই কর শতদলে,
হাতে ধরে ঘুচাইতে মান।
গহনা মৃণালে কাঁটা, অঙ্গুলি যাইল কাটা,
পরে পাদ পদ পড়ি প্রাণ ||
হেলে দুলে সে কমলে, লুটাইয়া শতদলে,
ফিরাইলে প্রাণের ললনা।
শেষে যাই কলিপরে, শোভিছে যা হৃদিপরে,
দূরে গেল মানের ছলনা ||
কামিনী
বল বল তারাচয় কেন কেন ম্লান হয়,
ছিল কিবা শোভাকর কর।
পতি
যামিনী কামিনী সতী, লইয়ে যামিনী পতি,
বিলাসিছে মেঘের ভিতর ||
পাছে বা দেখিতে পাই, নিভাইয়ে দেছে তাই,
আকাশের দীপ তারাগণে।
তবুও তো নিরন্তর, স্থির নহে শশধর,
উঁকি মেরে দেখে ক্ষণে ক্ষণে ||
আ মরি লো এ অধীনে, সেই মত এক দিনে,
ঘটাইলে প্রাণের রতন।
তুমি লো কমলবন, ছয় পদ্ম সুশোভন,
কর পদ হৃদয় বদন ||
যবে প্রিয়ে মান করি, মজাইলে প্রাণেশ্বরি,
লক্ষ্য করি মুখ শতদল।
গিয়ে তার মধুপানে, তৃপ্ত করিবারে প্রাণ,
অপ্রফুল্ল দেখি সে কমল ||
তাহাতে বঞ্চিলে ছলে, যাই কর শতদলে,
হাতে ধরে ঘুচাইতে মান।
গহনা মৃণালে কাঁটা, অঙ্গুলি যাইল কাটা,
পরে পাদ পদ পড়ি প্রাণ ||
হেলে দুলে সে কমলে, লুটাইয়া শতদলে,
ফিরাইলে প্রাণের ললনা।
শেষে যাই কলিপরে, শোভিছে যা হৃদিপরে,
দূরে গেল মানের ছলনা ||
কামিনী
বল বল তারাচয় কেন কেন ম্লান হয়,
ছিল কিবা শোভাকর কর।
পতি
যামিনী কামিনী সতী, লইয়ে যামিনী পতি,
বিলাসিছে মেঘের ভিতর ||
পাছে বা দেখিতে পাই, নিভাইয়ে দেছে তাই,
আকাশের দীপ তারাগণে।
তবুও তো নিরন্তর, স্থির নহে শশধর,
উঁকি মেরে দেখে ক্ষণে ক্ষণে ||