বাল্যরচনা
বসন্ত
সরস বসন্ত করে, মুগ্ধ ত্রিভুবন।
তুমিও স্বরূপে মুগ্ধ, করিছ তেমন ||
সুচারু বিমল শশী, তোমার বদন।
ইন্দীবর, নেত্রবর, প্রফুল্ল এখন ||
কমলে কমল কত, কমল কাননে।
হাতে পায় পদ্ম, পদ্ম, হৃদয় বদনে ||
প্রকটিত ফুলকুল, সৌরভ কি কব।
কিন্তু সে সৌরভ পাই, মুখপদ্মে তব ||
ভ্রমর ভ্রমণ করে, শুনি গুণ গুণ।
বুঝেছি নূপুর তব, করে রুণ রুণ ||
কিবা কুহু কুহু করে, কোকিল কলাপ।
বুঝেছি সে রব তব, মধুর আলাপ ||
তোমার সুগন্ধ যুক্ত, কমল বদন।
তাহা হোতে আসিতেছে, মৃদু শ্বাস ঘন ||
মুখের সৌরভ লোয়ে, আসিছে নিশ্বাস।
নাবুঝে কহিছে, লোক, দক্ষিণ বাতাস ||
পায় তব পাশে, আশ্রয় নিশ্বাসে,
এ সৌরভ তথা তাই ||
বসন্ত বৃক্ষের ডালে, নবীন পল্লব।
তাহার প্রমাণ দেখি, অধরেতে তব ||
বসন্তে প্রকাশ পায়, স্মরধনু শর।
তা হেরি কটাক্ষে তব, ভ্রূযুগ উপর ||
কিন্তু প্রাণ তব স্থানে, নিজে নাই স্মর।
কেবল রোয়েছে তার, ধনু আর শর ||
বুঝেছি কারণ সখি, যাহে নাহি স্মর।
পলায়েছে মনসিজ, হেরে কুচ হর ||
শক্ত নহে শিব সহ, করিবারে রণ।
ধনুর্ব্বাণ ফেলে দিয়ে, পলালো মদন ||
দেখ দেখ বিধুমুখি, ঈশ্বর কৌশল।
স্থাপিত কোরেছে ঋতু, তোমাতে সকল ||
-সংবাদ প্রভাকর’, ১৮ মার্চ্চ, ১৮৫৩
তুমিও স্বরূপে মুগ্ধ, করিছ তেমন ||
সুচারু বিমল শশী, তোমার বদন।
ইন্দীবর, নেত্রবর, প্রফুল্ল এখন ||
কমলে কমল কত, কমল কাননে।
হাতে পায় পদ্ম, পদ্ম, হৃদয় বদনে ||
প্রকটিত ফুলকুল, সৌরভ কি কব।
কিন্তু সে সৌরভ পাই, মুখপদ্মে তব ||
ভ্রমর ভ্রমণ করে, শুনি গুণ গুণ।
বুঝেছি নূপুর তব, করে রুণ রুণ ||
কিবা কুহু কুহু করে, কোকিল কলাপ।
বুঝেছি সে রব তব, মধুর আলাপ ||
তোমার সুগন্ধ যুক্ত, কমল বদন।
তাহা হোতে আসিতেছে, মৃদু শ্বাস ঘন ||
মুখের সৌরভ লোয়ে, আসিছে নিশ্বাস।
নাবুঝে কহিছে, লোক, দক্ষিণ বাতাস ||
পায় তব পাশে, আশ্রয় নিশ্বাসে,
এ সৌরভ তথা তাই ||
বসন্ত বৃক্ষের ডালে, নবীন পল্লব।
তাহার প্রমাণ দেখি, অধরেতে তব ||
বসন্তে প্রকাশ পায়, স্মরধনু শর।
তা হেরি কটাক্ষে তব, ভ্রূযুগ উপর ||
কিন্তু প্রাণ তব স্থানে, নিজে নাই স্মর।
কেবল রোয়েছে তার, ধনু আর শর ||
বুঝেছি কারণ সখি, যাহে নাহি স্মর।
পলায়েছে মনসিজ, হেরে কুচ হর ||
শক্ত নহে শিব সহ, করিবারে রণ।
ধনুর্ব্বাণ ফেলে দিয়ে, পলালো মদন ||
দেখ দেখ বিধুমুখি, ঈশ্বর কৌশল।
স্থাপিত কোরেছে ঋতু, তোমাতে সকল ||
-সংবাদ প্রভাকর’, ১৮ মার্চ্চ, ১৮৫৩