বাল্যরচনা
এ কথা যদ্যপি তুমি, কহ সুলোচনা।
হেমন্ত, শিশির ছলে মানের রচনা ||
ফলত ঘটিল তাই, আমার কপালে।
মান করি নিজ দেহে, হিম দেখাইলে ||
বিরস হোয়েছে তব, মুখ সুধাকর।
মুদিত হোয়েছে দেখি, আঁখি ইন্দীবর ||
এখন কমল কর, কহে বিকসিত।
সিন্দূর রবির ছবি, নহে প্রভাণ্বিত ||
নীহার নয়ন নীর, নিরবধি বহে।
যে জল শীতল অতি, সে আমারে দহে ||
শীতের স্বভাবে বারি, হোয়েছে শীতল।
কিন্তু তব অশ্রুরূপে, দহে মোরে জল||
শীতের প্রতাপে বহ্নি, তাপহীন হয়।
মানে তাই জ্যোতিহীন, তব নেত্রদ্বয় ||
এ সবেতে পরাভব, হেমন্ত পলায়।
আইল স্বদল সহ, শিশির তথায় ||
হেমন্ত, শিশির ছলে মানের রচনা ||
ফলত ঘটিল তাই, আমার কপালে।
মান করি নিজ দেহে, হিম দেখাইলে ||
বিরস হোয়েছে তব, মুখ সুধাকর।
মুদিত হোয়েছে দেখি, আঁখি ইন্দীবর ||
এখন কমল কর, কহে বিকসিত।
সিন্দূর রবির ছবি, নহে প্রভাণ্বিত ||
নীহার নয়ন নীর, নিরবধি বহে।
যে জল শীতল অতি, সে আমারে দহে ||
শীতের স্বভাবে বারি, হোয়েছে শীতল।
কিন্তু তব অশ্রুরূপে, দহে মোরে জল||
শীতের প্রতাপে বহ্নি, তাপহীন হয়।
মানে তাই জ্যোতিহীন, তব নেত্রদ্বয় ||
এ সবেতে পরাভব, হেমন্ত পলায়।
আইল স্বদল সহ, শিশির তথায় ||
শিশির
নয়নের দীপ্তি হর, ঘন ঘোরতর।
কুআশায় ঢাকিয়াছে, রবি শশধর ||
ঘোমটা কুআশা ঘোর, করি দরশন।
মুখ শশী, ভালে রবি, করে আচ্ছাদন ||
থর থর কলেবর, শীতে যে প্রকার।
সেরূপ কাঁপিছে দেহ, পরশে তোমার ||
হইতেছে রোমাঞ্চিত, বিকল শরীর।
উহু উহু, ভীম-হিম, করিছে অস্থির ||
যেমন শিশিরে, কালো, স্নিগ্ধ হয় জল।
তেমনি তোমার অঙ্গ, কালো, সুশীতল ||
জল হোতে উঠে ধূম, অনল সমান।
তোমার নিশ্বাসে ধূম, যদি কর মান ||
এ সবেতে পরাভব, শিশির পলায়।
আইল স্বদল সহ, বসন্ত তথায় ||
কুআশায় ঢাকিয়াছে, রবি শশধর ||
ঘোমটা কুআশা ঘোর, করি দরশন।
মুখ শশী, ভালে রবি, করে আচ্ছাদন ||
থর থর কলেবর, শীতে যে প্রকার।
সেরূপ কাঁপিছে দেহ, পরশে তোমার ||
হইতেছে রোমাঞ্চিত, বিকল শরীর।
উহু উহু, ভীম-হিম, করিছে অস্থির ||
যেমন শিশিরে, কালো, স্নিগ্ধ হয় জল।
তেমনি তোমার অঙ্গ, কালো, সুশীতল ||
জল হোতে উঠে ধূম, অনল সমান।
তোমার নিশ্বাসে ধূম, যদি কর মান ||
এ সবেতে পরাভব, শিশির পলায়।
আইল স্বদল সহ, বসন্ত তথায় ||