বাল্যরচনা
নিবিড়
তিমিরময়,
শুধু দরশন হয়,
শশী তারা নাহিক আকাশে।
শুধু ভেদি জলধর, যদি হয় ক্ষীণ কর,
এক তারা একাকী বিকাসে ||
তেমতি আমার বুকে, অন্ধকার দুখে দুখে,
গেছে যত আশা যত সুখ।
শুধু প্রাণনাথ আসা তারি প্রাণ ভরা আশা,
একাকী বিহরে মোর বুক ||
সে সুখ বাসর কবে, বল বল কবে হবে,
কবে হবে ফিরে দরশন।
করি তাহা জপমালা ভুলিব বিরহ জ্বালা
যদি পারি ভুলিতে রতন ||
শশী তারা নাহিক আকাশে।
শুধু ভেদি জলধর, যদি হয় ক্ষীণ কর,
এক তারা একাকী বিকাসে ||
তেমতি আমার বুকে, অন্ধকার দুখে দুখে,
গেছে যত আশা যত সুখ।
শুধু প্রাণনাথ আসা তারি প্রাণ ভরা আশা,
একাকী বিহরে মোর বুক ||
সে সুখ বাসর কবে, বল বল কবে হবে,
কবে হবে ফিরে দরশন।
করি তাহা জপমালা ভুলিব বিরহ জ্বালা
যদি পারি ভুলিতে রতন ||
পতি
চৌপদী
যদি দেহে প্রাণ
ধরি
আসিব হে ত্বরা করি,
তোরে ফেলে প্রাণে মরি, রহে না লো রহে না।
অন্তরে প্রণয় ডোরে, যে দৃঢ় গেঁথেছে মোরে,
প্রাণেতে ত্যজিতে তোরে, সহে না লো সহে না।
কিন্তু লো তরুণ করে, প্রকাশিল প্রভাকরে,
আর কথা পরস্পরে কহে না লো কহে না।
তবে যাই সুনয়নি, যাইলো হৃদয় মণি,
যাই কিন্তু পদ ধনি, বহে না লো বহে না ||
-‘সংবাদ প্রভাকর’, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৩
তোরে ফেলে প্রাণে মরি, রহে না লো রহে না।
অন্তরে প্রণয় ডোরে, যে দৃঢ় গেঁথেছে মোরে,
প্রাণেতে ত্যজিতে তোরে, সহে না লো সহে না।
কিন্তু লো তরুণ করে, প্রকাশিল প্রভাকরে,
আর কথা পরস্পরে কহে না লো কহে না।
তবে যাই সুনয়নি, যাইলো হৃদয় মণি,
যাই কিন্তু পদ ধনি, বহে না লো বহে না ||
-‘সংবাদ প্রভাকর’, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৩