বাল্যরচনা
প্রাণনাথ হৃদি
পরে,
হৃদি পরশিলে পরে,
অস্থির হৃদয় হব স্থির।
স্বর্গসুখ সম হিয়ে, তদুপরে হৃদি দিয়ে,
কত সুখে ঘুমাই গভীর ||
মরি মরি সে প্রকার, যাইতে পাব না আর,
নিদ্রা তব হৃদির উপর।
হৃদিপরে হৃদি দিয়ে, পয়োধরে পরশিয়ে,
জুড়াব না কাতর অন্তর?
সেখানে যতেক জ্বালা, নাহি করে ঝালাপালা,
শুধু যত সুখের স্বপন।
আর কি মধুরাকার, হেরিব না ফিরে বার,
শশধর সমান বদন ||
নয়নে নয়নে করি, অধর অধরোপরি,
করিব না কি আর চুম্বন।
আর কি হে করে করে, মিলাব না পরস্পরে,
স্কন্ধে কর করিয়ে ধারণ ||
না হে না হে সুখকাল, হয়েছে অতীত।
বিরহ বারিধি মাঝে, হয়েছে পতিত ||
জানি জানি সেই জ্বালা, অহরহ ঝালা পালা,
করিবে আমারে মনে মনে।
না দেখে প্রিয়ের মুখ, একেলা দহিবে বুক,
মনাগুনে গোপনে গোপনে ||
শুধু প্রাণনাথ আশা, রবে এক হৃদে আশা,
সপ্রবল শয়নে স্বপনে।
আসা দিন অনুরাগী, রব প্রাণে তার লাগি,
শুধু সেই দিন আশামনে ||
যেন রবে বিভাবরী, তমসা বসন পরি,
শশধর না করে প্রকাশ।
যদ্যপি তাহারোপরে, ভয়ঙ্কর জলধরে,
তাহা সহ ঢাকয়ে আকাশ ||
অস্থির হৃদয় হব স্থির।
স্বর্গসুখ সম হিয়ে, তদুপরে হৃদি দিয়ে,
কত সুখে ঘুমাই গভীর ||
মরি মরি সে প্রকার, যাইতে পাব না আর,
নিদ্রা তব হৃদির উপর।
হৃদিপরে হৃদি দিয়ে, পয়োধরে পরশিয়ে,
জুড়াব না কাতর অন্তর?
সেখানে যতেক জ্বালা, নাহি করে ঝালাপালা,
শুধু যত সুখের স্বপন।
আর কি মধুরাকার, হেরিব না ফিরে বার,
শশধর সমান বদন ||
নয়নে নয়নে করি, অধর অধরোপরি,
করিব না কি আর চুম্বন।
আর কি হে করে করে, মিলাব না পরস্পরে,
স্কন্ধে কর করিয়ে ধারণ ||
না হে না হে সুখকাল, হয়েছে অতীত।
বিরহ বারিধি মাঝে, হয়েছে পতিত ||
জানি জানি সেই জ্বালা, অহরহ ঝালা পালা,
করিবে আমারে মনে মনে।
না দেখে প্রিয়ের মুখ, একেলা দহিবে বুক,
মনাগুনে গোপনে গোপনে ||
শুধু প্রাণনাথ আশা, রবে এক হৃদে আশা,
সপ্রবল শয়নে স্বপনে।
আসা দিন অনুরাগী, রব প্রাণে তার লাগি,
শুধু সেই দিন আশামনে ||
যেন রবে বিভাবরী, তমসা বসন পরি,
শশধর না করে প্রকাশ।
যদ্যপি তাহারোপরে, ভয়ঙ্কর জলধরে,
তাহা সহ ঢাকয়ে আকাশ ||