বাল্যরচনা
শিশির বর্ণনাছলে স্ত্রী-পতির
কথোপকথন
কথোপকথন
লঘুললিত
স্ত্রী। হইয়াছে
জল
বড়ই শীতল,
ছুঁইলে বিকল, হইতে হয়।
আগে যে জীবন, জুড়াত জীবন,
সে বন এখন, নাহিক সয় ||
সুখদ মলয়, হইলেক লয়,
এলো হিমালয়, শীতল অতি।
পদার্থ সকল, সমীরণ জল,
কি কাল শীতল, হলো সম্প্রতি ||
সকল শীতল, করয় বিকল,
কিন্তু অপরূপ, নিরখি তায়।
সমস্ত শীতল, প্রতপ্ত কেবল,
বোধ হয় প্রাণ, তোমার গায় ||
পতি। মোরে নিরন্তর, তব নেত্রকর,
পাবক প্রখর, দাহন করে।
মম দেহোপর, বহ্নি খর তর,
তাই উষ্ণভাব, এ দেহ ধরে ||
স্ত্রী। কেন বিভাবরী, দীর্ঘ দেহ ধরি,
ধরায় বিহরি, রহে এখন।
ত্যজিতে ধরণী, না চায় রজনী,
বল গুণমণি, শুনি কারণ ||
পতি। নয়ন মুদিয়ে, থাক ঘুমাইয়ে,
তখনি হেরিয়ে, তোমার মুখ।
সতী বিভাবরী, শশী জ্ঞান করি,
হেরি প্রাণপতি, পায় কি সুখ ||
আছে যতক্ষণ, শশী প্রাণধন,
পাইয়ে রতন, না ত্যজে তায়।
তাই বিভাবরী, পতি বোধ করি,
বহুক্ষণ ধরি, রয় ধরায় ||
ছুঁইলে বিকল, হইতে হয়।
আগে যে জীবন, জুড়াত জীবন,
সে বন এখন, নাহিক সয় ||
সুখদ মলয়, হইলেক লয়,
এলো হিমালয়, শীতল অতি।
পদার্থ সকল, সমীরণ জল,
কি কাল শীতল, হলো সম্প্রতি ||
সকল শীতল, করয় বিকল,
কিন্তু অপরূপ, নিরখি তায়।
সমস্ত শীতল, প্রতপ্ত কেবল,
বোধ হয় প্রাণ, তোমার গায় ||
পতি। মোরে নিরন্তর, তব নেত্রকর,
পাবক প্রখর, দাহন করে।
মম দেহোপর, বহ্নি খর তর,
তাই উষ্ণভাব, এ দেহ ধরে ||
স্ত্রী। কেন বিভাবরী, দীর্ঘ দেহ ধরি,
ধরায় বিহরি, রহে এখন।
ত্যজিতে ধরণী, না চায় রজনী,
বল গুণমণি, শুনি কারণ ||
পতি। নয়ন মুদিয়ে, থাক ঘুমাইয়ে,
তখনি হেরিয়ে, তোমার মুখ।
সতী বিভাবরী, শশী জ্ঞান করি,
হেরি প্রাণপতি, পায় কি সুখ ||
আছে যতক্ষণ, শশী প্রাণধন,
পাইয়ে রতন, না ত্যজে তায়।
তাই বিভাবরী, পতি বোধ করি,
বহুক্ষণ ধরি, রয় ধরায় ||