বাল্যরচনা
পতি
পতি
শশধরে,
দরশন করে,
রজনী মলিন ভাব।
বলে কেন নাথ, হেরি অকস্মাৎ,
হোলে হাস্যরসাভাব ||
করি অপরাধ. দিয়েছে বিষাদ,
বুঝি এই অভাগিনী।
কাতরে নাথরে, এ মিনতি করে,
শেষে কাঁদে সে রজনী ||
সে রোদন ছলে, নয়নেরি জলে,
নীহার বর্ষণ করে।
এই সে কারণ, নীহার বর্ষণ,
কহে যত মূঢ় নরে ||
কিন্তু আমি বলি, সে মিথ্যা কেবলি,
সত্য যাহা আমি কই।
শশাঙ্ক গগনে, ও মুখ দর্শনে,
মলিন কাঁদিতেছে ওই ||
যত তারাগণে তোমার নয়নে,
কাঁদিতেছে অবিরত।
নয়নের জলে, নীহারের ছলে,
পতন করিতে রত ||
রজনী মলিন ভাব।
বলে কেন নাথ, হেরি অকস্মাৎ,
হোলে হাস্যরসাভাব ||
করি অপরাধ. দিয়েছে বিষাদ,
বুঝি এই অভাগিনী।
কাতরে নাথরে, এ মিনতি করে,
শেষে কাঁদে সে রজনী ||
সে রোদন ছলে, নয়নেরি জলে,
নীহার বর্ষণ করে।
এই সে কারণ, নীহার বর্ষণ,
কহে যত মূঢ় নরে ||
কিন্তু আমি বলি, সে মিথ্যা কেবলি,
সত্য যাহা আমি কই।
শশাঙ্ক গগনে, ও মুখ দর্শনে,
মলিন কাঁদিতেছে ওই ||
যত তারাগণে তোমার নয়নে,
কাঁদিতেছে অবিরত।
নয়নের জলে, নীহারের ছলে,
পতন করিতে রত ||
নারী
হয়েছে
শীতল,
দেখিতেছি জল,
পুন শীত কি কারণ।
পুন শীত কি কারণ।
পতি
বুঝি কি
কারণে,
কুরঙ্গ নয়নে,
কেঁদেছিল প্রাণধন ||
সেই অশ্রুজল, বহি বক্ষস্থল,
কুচ হিমালয় শৈল ||
সে গিরি পর্শনে, নয়ন জীবনে,
অতিশয় হিম হৈল ||
সেই বিন্দু জল, পড়িয়ে ভূতল,
জলে গিয়ে মিশাইল।
অশ্রু পরশনে, জল সেইক্ষণে,
অতি শীতল হইল ||
-‘সংবাদ প্রভাকর’, ১০ জানুয়ারি, ১৮৫৩
কেঁদেছিল প্রাণধন ||
সেই অশ্রুজল, বহি বক্ষস্থল,
কুচ হিমালয় শৈল ||
সে গিরি পর্শনে, নয়ন জীবনে,
অতিশয় হিম হৈল ||
সেই বিন্দু জল, পড়িয়ে ভূতল,
জলে গিয়ে মিশাইল।
অশ্রু পরশনে, জল সেইক্ষণে,
অতি শীতল হইল ||
-‘সংবাদ প্রভাকর’, ১০ জানুয়ারি, ১৮৫৩