ভীম স্থির মাঝে কোন রব শুনিব না।
তবে যদি নিরুপমা স্বর্গীয় ললনা
শূন্যভরে শশিকরে স্বপ্নসম মিশে,
বাজায় মুরলী মৃদু মনোমোহ ভরে,
প্রকাশিয়ে যত জ্বালা প্রণয়ের বিষে,
        গভীর কোমল ধীর যাতনার স্বরে ||
মনোসাধে মজে তায় ভাবিবেক মন,
স্বপনে নিরাশা সঙ্গে আশার মিলন ||
মরি রে মোহিত মনে শুনিব সে স্বরে,
      মোহভরে মুখ পানে চেয়ে রব তার।
হা বিধাতঃ বল বল বারেক বল রে;
      হবে কি এমন দিন কপালে আমার ||
অথবা দেখিব স্তব্ধ লতিকার কুঞ্জে।
জ্বলে যথা শশিকর স্থির পাতাপুঞ্জে ||
নবীন কুসুম হাসি ছাড়িছে সুবাস।
যেন তৃণ লতা মাঝে নক্ষত্র প্রকাশ ||
দেবের ললনা দলে নাচে মাঝে তার।
চন্দ্রের কিরণে যেন চম্পকের হার ||
শত বীণা স্বর্গসুরে অপ্সরে বাজায়।
শত গান এক সুরে শূন্যেতে মিশায় ||
ঝরে ফুল জ্বলে মণি দেহের বর্ত্তনে।
কতই তরঙ্গ বয় আলোক বসনে ||
তারা গেলে হবে কুঞ্জে বিজন আঁধার।
একাকী কাঁদিব দেখে ঝরা ফুলহার ||
নিমিষে ঘুচিবে স্বপ্ন বিজনমণ্ডলে।
সেই ফুল সেই লতা ধীরে ধীরে দোলে ||
কাননে সাগরে যবে অমাবস্যা বসি-
কালো মেঘে ঢাকা শির ভীষণ রাক্ষসী-
গিরিগুহা মাঝে গর্জ্জে ক্রোধ ঝটিকার।
শুনে তাহে মিশাইব, অংশ হব তার ||
ভীমরণে প্রাণপণে পাগল পবন।
ঘুরিয়া ঘুরিয়া রাগে করে গরজন ||