এখনো এলো না কেন সঙ্গীতের ধ্বনি।
ভীষণ নীরব! হা রে! আছে কি ধরণী?
অকস্মাৎ কোথা হয় গভীর গর্জ্জন।
কাঁপিল গভীর বন কাঁপিল দুজন ||
অদ্ভুত নিনাদ উড়ে যায় বন দিয়ে।
অন্ধকার ভীমতল হইল আসিয়ে ||
ভীমতর নাদে যেন কাঁপে নভ হৃদি।
কাঁদিয়া উঠিল দোঁহে, “হা বিধি! হা বিধি!”
১০
গভীর জলদ নাদ,          গড়ায় আকাশ ছাদ,
থেকে থেকে উচ্চতর স্বনে।
পবন করিছে জোর,       যেন সাগরের সোর,
হুঙ্কারে গরজে প্রাণপণে ||
বারেক চঞ্চলাভায়,        দেখি নীল মেঘ গায়,
কটা মাথা নাড়ে ক্ষিপ্তবন।
পাতা উড়ে ঢাকে ঘনে,    পড়িতেছে ঘোর স্বনে,
বড় বড় মহীরুহগণ ||
ঘোরতর চীৎকার,          লক্ষ লক্ষ অনিবার,
মানুষ চিবায় ভূতগণে।
সমুদ্র সমান সোরে,       বরিষা আছাড়ে জোরে
রেগে রেগে গর্জ্জে বায়ু সনে ||
উপরি উপরি ধ্বনি,        আছাড়ে সহস্রাশনি,
খণ্ডে খণ্ডে ছেঁড়ে বা গগন।
বিদারিয়ে বিটপীরে,       বজ্রাগ্নি পোড়ায় শিরে,
কাঁদে যত সিংহ ব্যাঘ্রগণ ||