ভীষণ তিমিরে ভীষণ স্থির।
মাঝে মাঝে খসে পত্র শাখীর।
ধীরে ধীরে ঝরে নির্ঝর নীর।
                     আঁধারে নিরখে রঙ্গিণী ||
লাগিয়া নির্ঝরে ঈষৎ আলো।
দেখে ফুলময় সে জল কালো।
আঁধারে কুসুম পরশে গাল।
                   শিহরে সরোজ অঙ্গিনী ||
যেতে পতি সনে চন্দ্রবদনী
মরি কি সঙ্গীত শুনিল ধনী।
ললিত মোহন গভীর ধ্বনি।
                 নির্ঝর নিনাদ সঙ্গিনী ||
নীরব কানন উঠে শিহরি।
শিহরে দুজনে দুজনে ধরি।
হৃদয়ে হৃদয়ে গাঁথিল মরি।
                 বাঁধিল মনঃকুরঙ্গিনী ||
স্তব্ধ বনে অন্ধকারে,     ভেসে ভেসে চারি ধারে
মোহে তায় দুই জনে, আপনাকে ভুলিল।
দুজনার মুখ চেয়ে,       দুজনারে বুকে পেয়ে,
প্রেম আর সেই গানে, এক হয়ে মিলিল |
জ্ঞান পেয়ে কহে কেন,     এ গহনে ধ্বনি হেন,
এ ধ্বনি দেবের যেন, চল দেখি যাইয়ে।
আ মরি! কহিছে ধনী,     শুনি নাই হেন ধ্বনি,
হরিল কানন ভয়, হৃদয় নাচাইয়ে ||
বনমাঝে যায় যত,         ধ্বনি সুনিকট তত,
দেখে শেষে তরু কত, কুঞ্জ এক ঘেরেছে।
স্থির শোভা কিবা তার,     বুঝি প্রেম আপনার,
সাধের প্রমোদাগার, তার মাঝে করেছে ||