যেন লক্ষ বিদ্যাধরে,        সদা কর্ণে গান করে,
কি মধুর শব্দহীন ভাষা।
হেরিয়ে সামান্য কলি,        নয়ন সলিলে গলি,
উছলে অনন্ত ভালবাসা ||
প্রেমে যার মন বাঁধা,     না পারে দিবারে বাধা,
সমুদ্র শিখর নদী বনে।
কলঙ্ক বিপদ ক্লেশ,          ঝটিকার ধরি বেশ,
শিরোপরি গরজয়ে যত।
আশ্রয় করিয়া আশা,      প্রণয়ীতে ভালবাসা,
প্রণয়ীর প্রাণে বাড়ে তত ||
জ্বালা সয় নিরবধি,        সেও ভাল পায় যদি,
একবার আঁখির মিলন।
দুঃখের গভীর বনে,         সেই স্বপ্নে সুখ মনে,
প্রেম রীতি কে জানে কেমন ||
চলিল চরণ চন্দ্রবদনী।
ঢলিয়ে ঢলিয়ে মন্দচরণী।
ঊষার প্রখর তারকা ধনী।
                               চলিল গজেশগামিনী ||
উভয়ে মরেছে হৃদি যাতনে।
উভয়ে পেয়েছে প্রাণরতনে।
কাঁধে কাঁধে ধরি চলে কাননে।
                            গভীর নীরব যামিনী ||
শিরোপরে শাখা বিনান ঘন।
আসিবে কেমনে শশিকিরণ।
তরল তিমির ভীষণ বন।
                           দেখিয়া শিহরে কামিনী।
আঁধার আকাশে নক্ষত্রাবলি।
তেমনি কাননে কুসুম কলি।
আমোদে হৃদয়ে যেতেছে গলি।
                        সে নব নীরদ দামিনী ||