“ভাবি এ প্রকার,              ছাড়িতে হুঙ্কার,
কাঁপিল কানন স্তব্ধ।
শিহরি অন্তরে,               কি জানি কি ডরে,
কাঁপে হৃদি শুনি শব্দ ||
হুতাশ নাশিতে,               সঙ্কেত বাঁশীতে,
গায়িলাম দুখ যত।
বাজাইয়া তায়,               মরি লো তোমায়,
সঙ্কেত করেছি কত!
একবার যাই,                   মুরলী বাজাই,
আপনি নয়ন ঝোরে।
গলে হৃদি দুখে,                এক মাত্র সুখে;
বাঁশী কি মোহিল মোরে!
গাই পরক্ষণে,                   দেখি নিশাবনে,
একাকিনী রূপবতী।
হয়ে চমকিত,            তীরে এই ভীত,
লইলাম শীঘ্রগতি ||
কে জানে কেমনে,        আশা এলো মনে,
আমারি ললিতা হবে।
কত ভাগ্য ধনি,           পাই হারা মণি,
আর ছাড়া নাহি হবে?”
ললিতা
“নারে প্রাণ নারে,         আর হে তোমারে,
আঁখি ছাড়া করিব না।
রহিব দুজনে,              গোপন কাননে,
দেখিবে না কোন জনা ||
কাজ নাই দেশে,           তথা শুধু দ্বেষে,
হেন প্রেম নাশ করে।
গঞ্জন যন্ত্রণা,                কলঙ্ক রটনা,
মিলন না হয় ডরে ||