(১) রুক্মিণী   (৪) শৈব্যা
(২) সত্যভামা   (৫) হৈমবতী
(৩) গান্ধারী   (৬) জাম্ববতী

মহাভারতে আর নাম নাই, কিন্তু “অন্যা” শব্দটা আছে। তার পর বিষ্ণুপুরাণের ২৮ অধ্যায়ে ১, ২, ৩, ছাড়া এই কয়েকটা নামও পাওয়া যায়।

(৭) কালিন্দী   (১০) রোহিণী
(৮) মিত্রবিন্দা   (১১) মাদ্রী
(৯) সত্যা নাগ্নজিতী   (১২) লক্ষ্মাণা জালহাসিনী

বিষ্ণুপুরাণের ৩২ অধ্যায়ে তদতিরিক্ত পাওয়া যায়, শৈব্যা। তাঁহার নাম উপরে লেখা আছে। তার পর হরিবংশের প্রথম তালিকা ১১৮ অধ্যায়ে, ইহা ছাড়া নূতন নাম নাই, কিন্তু ১৬২ অধ্যায়ে নূতন পাওয়া যায়।

(১৩) কালিন্দী   (১৪) রোহিণী
 (১৫) সভীমা

এবং ঐ অধ্যায়ে সন্তানগণনায় পাই,

(১৬) সুদেবা (১৮)  কৌশিকী (২০) যৌধিষ্ঠিরী
(১৭) উপাসঙ্গ  (১৯) সুতসোমা

এবং সত্যভামার বিবাহকালে কৃষ্ণে সম্প্রদত্তা,

(২১) ব্রতনী।      (২২) প্রস্বাপিনী।

আট জনের জায়গায় ২২ জন পাওয়া গেল। উপন্যাসকারদিগের খুব হাত চলিয়াছিল, এ কথা স্পষ্ট। ইহার মধ্যে ১৩ হইতে ২২ কেবল হরিবংশে আছে। এই জন্য ঐ ১০ জনকে ত্যাগ করা যাইতে পারে। তবু থাকে ১২ জন। গান্ধারী ও হৈমবতীর নাম মহাভারতের মৌসলপর্ব ভিন্ন আর কোথাও পাওয়া যায় না। মৌসলপর্ব যে মহাভারতে প্রক্ষিপ্ত, তাহা পরে দেখাইব। এজন্য এই দুই নামও পরিত্যাগ করা যাইতে পারে। বাকি থাকে ১০ জন।

জাম্ববতীর নাম বিষ্ণুপুরাণের ২৮ অধ্যায়ে লেখা আছে,—

“দেবী জাম্ববতী চাপি রোহিণী কামরূপিনী।”

হরিবংশে এইরূপ,—

“সুতা জাম্ববতশ্চাপি রোহিণী কামরূপিণী।”

ইহার অর্থে যদি বুঝা যায়, জাম্ববৎসুতাই রোহিণী, তাহা হইলে অর্থ অসঙ্গত হয় না, এবং সেই অর্থই সঙ্গত বোধ হয়। অতএব জাম্ববতী ও রোহিণী একই। বাকি থাকিল ৮ জন।