ক্রমেই শ্রীবৃদ্ধি-রুক্মিণী ছাড়া নয় জন হইল। এ গেল ১১৮ অধ্যায়ের তালিকা। হরিবংশে আবার ১৬২ অধ্যায়ে আর একটি তালিকা আছে, যথা—

অষ্টৌ মহিষ্যঃ পুত্রিণ্য ইতি প্রাধান্যতঃ স্মৃতাঃ।
সর্বা বীরপ্রজাশ্চৈব তাস্বপত্যানি মে শৃণু ||
রুক্মিণী সত্যভামা চ দেবী নাগ্নজিতী তথা।
সুদত্তা চ তথা শৈব্যা লক্ষ্মণ জালহাসিনী ||
মিত্রবিন্দা চ কালিন্দী জাম্ববত্যথ পৌরবী।
সুভীমা চ তথা মাদ্রী    *    *    *

ইহাতে পাওয়া গেল, রুক্মিণী ছাড়া,

(১) সত্যভামা (৬) মিত্রবিন্দা
(২) নাগ্নজিতী (৭) কালিন্দী
(৩) সুদত্তা (৮) জাম্ববতী
(৪) শৈব্যা (৯) পৌরবী
(৫) লক্ষ্মণা জালহাসিনী (১০) সুভীমা
(১১) মাদ্রী

হরিবংশকার ঋষি ঠাকুর, আট জন বলিয়া রুক্মিণী সমেত বার জনের নাম দিলেন। তাহাতেও ক্ষান্ত নহেন। ইহাদের একে একে সন্তানগণের নামকীর্তনে প্রবৃত্ত হইলেন। তখন আবার বাহির হইল—

(১২) সুদেবা। (১৪) কৌশিকী
(১৩) উপাসঙ্গ (১৫) সুতসোমা
(১৬) যৌধিষ্ঠিরী।*

এছাড়া পূর্বে সত্রাজিতের আর দুই কন্যা ব্রতিনী এবং প্রস্বাপিনীর কথা বলিয়াছেন। এ ছাড়া মহাভারতের নূতন দুইটি নাম পাওয়া যায়—গান্ধারী ও হৈমবতী।# সকল নামগুলি একত্র করিলে, প্রধানা মহিষী কতকগুলি হয় দেখা যাউক। মহাভারতে আছে,—

* ইঁহারাও প্রধানা অষ্টের ভিতর গণিত হইয়াছেন। ‘তাসামপত্যান্যষ্টানাং ভগবন্ প্রব্রবীতে মে।’ ইহার উত্তরে এ সকল মহিষীর অপত্য কথিত হইতেছে।
          # রুক্মিণী ত্বথ গান্ধারী শৈব্যা হৈমবতীত্যপি।
          দেবী জাম্ববতী চৈব বিবিশুর্জাতবেদসম্ ||
                     মৌসলপর্ব, ৭ অধ্যায়।