কমলাকান্ত-পরিশিষ্ট
প্রথম বারের বিজ্ঞাপন
কমলাকান্তের দপ্তর বঙ্গদর্শন হইতে পুনর্মুদ্রিত করা গেল। বঙ্গদর্শনে যে কয় সংখ্যা প্রকাশ হইয়াছে, তাহার মধ্যে “চন্দ্রালোকে”, “মশক” এবং “স্ত্রীলোকের রূপ” এই তিন সংখ্যা আমার প্রণীত নহে, এই জন্য ঐ তিন সংখ্যা পুনর্মুদ্রিত করিতে পারিলাম না।
এই গ্রন্থ কেবল “কমলাকান্তের দপ্তরের” পুনঃ সংস্করণ নহে। “কমলাকান্তের দপ্তর” ভিন্ন ইহাতে “কমলাকান্তের পত্র” ও “কমলাকান্তের জবানবন্দী” এই দুইখানি নূতন গ্রন্থ আছে।
বঙ্গদর্শনে কমলাকান্তের দপ্তর সমাপ্ত হয় নাই। এই জন্য এই গ্রন্থের নামকরণে “প্রথম খণ্ড” লেখা হইল।
শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বিজ্ঞাপন
এই গ্রন্থ কেবল “কমলাকান্তের দপ্তরের” পুনঃ সংস্করণ নহে। “কমলাকান্তের দপ্তর” ভিন্ন ইহাতে “কমলাকান্তের পত্র” ও “কমলাকান্তের জবানবন্দী” এই দুইখানি নূতন গ্রন্থ আছে।
কমলাকান্তের দপ্তরেও দুইটি নূতন প্রবন্ধ এবার বেশী আছে। “চন্দ্রালোকে,” এবং “স্ত্রীলোকের রূপ” এই দুইটি প্রবন্ধ কমলাকান্তের দপ্তরের প্রথম সংস্করণে পরিত্যাগ করা গিয়াছিল। তাহার কারণ এই যে, ঐ দুইটি আমার প্রণীত নহে। “চন্দ্রালোকে” আমার প্রিয় সুহৃদ শ্রীমান্ বাবু অক্ষয়চন্দ্র সরকারের রচিত; এবং “স্ত্রীলোকের রূপ” আমার প্রিয় সুহৃৎ শ্রীমান্ বাবু রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের রচিত; উঁহারা স্ব স্ব রচনার সঙ্গে ঐ প্রবন্ধদ্বয় পুনর্মুদ্রিত করিবেন, এই ইচ্ছায় আমি কমলাকান্তের দপ্তরের প্রথম সংস্করণে ঐ দুইটি পরিত্যাগ করিয়াছিলাম। এক্ষণে লেখকদিগের নিকট জানিয়াছি যে, তাঁহারা ঐ দুইটি প্রবন্ধ নিজে নিজে পুনর্মুদ্রিত করিবার কোন সম্ভাবনা নাই। অতএব, তাঁহাদের ইচ্ছানুসারে ঐ দুইটি প্রবন্ধ কমলাকান্তের দপ্তরের দ্বিতীয় সংস্করণ-ভুক্ত করা গেল।
“বুড়া বয়সের কথা” যদিও বঙ্গদর্শনে কমলাকান্তের নামযুক্ত হইয়া প্রকাশিত হয় নাই, তথাপি উহার মর্ম কমলাকান্তি বলিয়া উহাও “কমলাকান্তের পত্র” মধ্যে সন্নিবেশিত করিয়াছি। মোটে পাঁচখানি।
“কমলাকান্তের জোবানবন্দী” সমেত সর্বশুদ্ধ আটটি নূতন পুনর্মুদ্রিত করা গেল। গ্রন্থের আকার অনেক বাড়িয়াছে বলিয়া এবং অন্যান্য কারণেও গ্রন্থের মূল্যও বৃদ্ধি করিতে বাধ্য করিয়াছি।
শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
দ্বিতীয় বারের বিজ্ঞাপন
“ঢেঁকি” শীর্ষক প্রবন্ধটি ভুলক্রমে পূর্বসংস্করণভুক্ত হয় নাই। উহাও বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত হইয়াছিল, কিন্তু এই প্রথম পুনর্মুদ্রিত হইল।