BRANSONISM7

জন ডিক্‌সন সাহেবকে ফৌজদারী আদালতে ধরিয়া আনিয়াছে। সাহেব বড় কালো, তা হলে হয় কি, সাহেব ত বটে-পাড়াগেঁয়ে কাছারিতে বিচার দেখিতে অনেক রঙ্গদার লোক ছুটিয়া গেল। বিচার একটা দেশী ডিপুটির কাছে হইবে। তাহাতে সাহেবের কিছু কষ্ট; তবে মনে মনে ভরসা আছে যে, বাঙ্গালিটা ভয়ে আমাকে ছাড়িয়া দিবে। ডিপুটি মহাশয়ের রকম দেখিয়াও তাই বোধ হয়, একটা তেকেলে বুড়ো-নিরীহ রকম ভাল মানুষ; জড়সড় হইয়া বসিয়া আছে।

এদিকে কনষ্টেবল মহাশয়েরা কতকটা ভয়ে ভয়ে সাহেব মহাশয়কে ডকস্থ করিলেন। সাহেব ডকস্থ হইয়াই একটু গরম হইয়া হাকিমের পানে চাহিয়া চোখ ঘুরাইয়া একটু বাঁকা বাঁকা বুলিতে বলিলেন, “সে হামাকে টোমরা হেখানে কেন আনিলো?”

হাকিম বলিল, “কি জানি সাহেব! কেন আনিলো-তুমি কি করেছ?”

সাহেব। যা করে না কেন, টোমার সাতে হামার কোন বাট হোবে না। হাকিম । কেন সাহেব?

সাহেব। টুমি কালা বাঙ্গালি আছে।

হাকিম । তার পর?

সাহেব। হামি সাহেব আছে।

হাকিম । তা ত দেখ্‌ছি-তাতে কি হলো?

সাহেব। তোমার-কি বলে? সেটা লেই।

হাকিম । তবু ভাল-মাতৃভাষা ধরেছ, এতক্ষণ বাঁকা বাঁকা বুলি ধরেছিলে কেন? কি নেই?

সাহেব। সেই ঝাতে মোকদ্দমা করে-সে তুমি জানে না?

হাকিম । সাহেব, আমি ভাল মানুষ-তোমায় এখনও কিছু বলি নাই-কিন্তু আর “তুমি” “তুমি” করিও না-জরিমানা করিব।

সাহেব। টুমি মোর জরিমানা করিতে পারে না-হামি সাহেব আছে-তোমার সেই সেটা-কি বলে-সেটা লেই।

হাকিম । কি নেই সাহেব?

সাহেব। সেই যে-জুষ্টিকেশন।

হাকিম । ওহো-Jurisdiction? বটে। তুমি কি বিলাতী সাহেব?

সাহেব। হামি সাহেব আছে।

হাকিম । রংটা এত কাল কেন?

সাহেব। মুই কোয়লার কাম করেছিল।

7 llbert বিল সম্বন্ধীয় বিবাদকালে ইহা লিখিত হয়।