মৃণালিনী
মৃ। সে আমারই দোষ-আমি গুছাইয়া সকল কথা তাঁহাকে বলিতে পারি নাই-কি বলিতে কি বলিলাম।
গি। ঠাকুরাণি! আপনার কপাল টিপিয়া দেখ।
মৃণালিনী ললাট স্পর্শ করিলেন।
গি। কি দেখিলে?
মৃ। বেদনা।
গি। কেন হইল?
মৃ। মনে নাই।
গি। তুমি হেমচন্দ্রের অঙ্গে মাথা রাখিয়াছিলে-তিনি ফেলিয়া দিয়া গিয়াছেন। পাতরে পড়িয়া তোমার মাথায় লাগিয়াছে।
মৃণালিনী ক্ষণেক চিন্তা করিয়া দেখিলেন-কিছু মনে পড়িল না। বলিলেন, “মনে হয় না; বোধ হয় আমি আপনি পড়িয়া গিয়া থাকিব |”
গিরিজায়া বিস্মিতা হইল। বলিল, “ঠাকুরাণি! এ সংসারে আপনি সুখী |”
মৃ। কেন?
গি। আপনি রাগ করেন না।
মৃ। আমিই সুখী-কিন্তু তাহার জন্য নহে।
গি। তবে কিসে?
মৃ। হেমচন্দ্রের সাক্ষাৎ পাইয়াছি।