ওসমানের মুখ হর্ষ-প্রফুল্ল হইল। কহিলেন, “তোমরা বাহিরে আইস, কোন চিন্তা নাই |”

বিমলা অগ্রে বাহির হইয়া তিলোত্তমাকে বাহিরে আনিয়া বসাইলেন। তখন তিলোত্তমার চৈতন্য হইতেছে– বসিতে পারিলেন। ধীরে ধীরে বিমলাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমরা কোথায় আসিয়াছি?”

বিমলা কাণে কাণে কহিলেন, “কোন চিন্তা নাই, অবগুণ্ঠন দিয়া বসো।”

যে ব্যক্তি অনুসন্ধান করিয়া বাহির করিয়াছিল, সে ওসমানকে কহিল, “জুনাব! গোলাম খুঁজিয়া বাহির করিয়াছে |”

ওসমান কহিল, “তুমি পুরস্কার প্রার্থনা করিতেছ? তোমার নাম কি?”

সে কহিল, “গোলামের নাম করিম্‌বক্স, কিন্তু করিম্‌বক্স বলিলে কেহ চেনে না। আমি পূর্বে মোগল-সৈন্য ছিলাম, এজন্য সকলে রহস্যে আমাকে মোগল-সেনাপতি বলিয়া ডাকে |”

বিমলা শুনিয়া শিহরিয়া উঠিলেন। অভিরাম স্বামীর জ্যোতির্গণনা তাঁহার স্মরণ হইল।

ওসমান কহিলেন, “আচ্ছা, স্মরণ থাকিবে |”