আরো দেখ করিবরে,      বরষার মত্ত করে,
দ্বিগুণ উন্মত্ত তুমি কর।
হেরিয়া তোমার করে,   হেরি তব পয়োধরে
চিৎকার করিছে কুঞ্জর ||
যে দাড়িম্ব বরষার,      সকল গর্ব্বের সার,
তব কুচে পূর্ণ মান নাশ।
মেঘে রবি ঢাকা ঢাকি,         কেশেতে সিন্দূর মাখি,
তাহা হতে লাবণ্য প্রকাশ ||
পদে পদে এইরূপে      হারিয়া তোমার রূপে,
কত অপমান বরষার।
এত দুখ সহিবারে,      বরষা নাহিক পারে,
রোদন করিছে অনিবার ||
সে রোদনে অনিবার,   পড়ে বৃষ্টিধার তার,
ঘননাদ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
তাই প্রাণ নিরন্তর,        বরষিছে জলধর,
তাই মেঘ গর্জ্জে অনিবারে ||

কামিনী
বিঘোর নীরদোপরে,     কত হাব ভাব ভরে,
চপলা চঞ্চলা চমকায়।
কেন কেন ক্ষণপ্রভা,    ক্ষণেক প্রকাশি প্রভা,
ক্ষণ পরে বারিদে লুকায় ||

পতি
গিরির শিখর পরে,     থাকে যত জলধরে,
দেখিল তোমার কুচগিরি।
পরিহরি সে ভূধরে,    রৈতে পয়োধর পরে,
আসিতে লাগিল ধিরি ধিরি ||
এসে দেখে হায় হায়,   নীলবস্ত্র মেঘে তায়,
বসিয়াছে মনের পুলকে।
ক্রুদ্ধে মেঘ নাহি রক্ষে,     অগ্নিশিখে উঠে চক্ষে,
তাই সখি বিদ্যুৎ চমকে ||
জলধর ক্রোধমনে,          আদেশিল সমীরণে,
উড়াইতে বুকের বসন।
তাই বায়ু আসে ডেকে,        যাবে বুক খুলে রেখে,
ধরিয়ে রাখিবে কতক্ষণ ||