বাল্যরচনা
চন্দ্রিকার নীলাকাশ গায়, দুটি দেবদারু দেখা যায়।
ভীম বনে তলে তার, অতি স্তব্ধ অনিবার,
কাল যেন প্রহরী তাহায় ||
সেই নদী সেই তরুবরে, দুখময় তর তর স্বরে,
বারেক না ক্ষান্ত আছে, নক্ষত্রমণ্ডলী আছে,
অদ্যাপি বিলাপ কেন করে ||
গম্ভীর সে ধ্বনি নিরবধি, যেন বা সন্ধ্যায় শরন্নদী।
শুনিলে শিহরি স্মরি, মেধার মারুতোপরি,
জানিনে যেতেছি কি জলধি ||
শ্যামলা গুল্মিনী চির নব, ব্যাপিয়াছে সেই স্থান সব।
তারাফুল তারা ধরে, অনন্ত আমোদ করে,
সুধাপানে শিহরিছে নভ ||
এ কাননে গভীর এমন, কে করে রে বাঁশরী বাদন।
অনিবার নিশাভাগে, যেন কার অনুরাগে,
গায়ে সাধে মনের যাতন ||
মোহমন্ত্রে তার স্থির বন, শোনে ধ্বনি-বিহীন স্পন্দন।
পত্রটি নাহিক সরে, যেতে যেতে শুনে স্বরে,
নাহি সরে নীরধরগণ ||
চন্দ্রিকার শূন্য কুঞ্জোপর, মোহন স্বপ্নজ শোভাধর।
কারা যেন শুনে তায়, উড়ে নীল নভ গায়,
মর্ম্মরিত প্রচুর অম্বর ||
তাহে কত সুধাবাস ঝরে, কুসুম বরিষে কুঞ্জোপরে।
ভাঙ্গে স্বপ্ন ঊষা আসি, অমনি নীরব বাঁশী,
গল্যে যায় সে রূপ নিকরে ||
ধূলি হয়ে এই কুঞ্জবনে মন্মথ-মোহিনী নাথ সনে।
প্রতি নিশি এই মত, হয় যথা নিদ্রাগত,
ললিতা মন্মথ দুই জনে ||
ভীম বনে তলে তার, অতি স্তব্ধ অনিবার,
কাল যেন প্রহরী তাহায় ||
সেই নদী সেই তরুবরে, দুখময় তর তর স্বরে,
বারেক না ক্ষান্ত আছে, নক্ষত্রমণ্ডলী আছে,
অদ্যাপি বিলাপ কেন করে ||
গম্ভীর সে ধ্বনি নিরবধি, যেন বা সন্ধ্যায় শরন্নদী।
শুনিলে শিহরি স্মরি, মেধার মারুতোপরি,
জানিনে যেতেছি কি জলধি ||
শ্যামলা গুল্মিনী চির নব, ব্যাপিয়াছে সেই স্থান সব।
তারাফুল তারা ধরে, অনন্ত আমোদ করে,
সুধাপানে শিহরিছে নভ ||
এ কাননে গভীর এমন, কে করে রে বাঁশরী বাদন।
অনিবার নিশাভাগে, যেন কার অনুরাগে,
গায়ে সাধে মনের যাতন ||
মোহমন্ত্রে তার স্থির বন, শোনে ধ্বনি-বিহীন স্পন্দন।
পত্রটি নাহিক সরে, যেতে যেতে শুনে স্বরে,
নাহি সরে নীরধরগণ ||
চন্দ্রিকার শূন্য কুঞ্জোপর, মোহন স্বপ্নজ শোভাধর।
কারা যেন শুনে তায়, উড়ে নীল নভ গায়,
মর্ম্মরিত প্রচুর অম্বর ||
তাহে কত সুধাবাস ঝরে, কুসুম বরিষে কুঞ্জোপরে।
ভাঙ্গে স্বপ্ন ঊষা আসি, অমনি নীরব বাঁশী,
গল্যে যায় সে রূপ নিকরে ||
ধূলি হয়ে এই কুঞ্জবনে মন্মথ-মোহিনী নাথ সনে।
প্রতি নিশি এই মত, হয় যথা নিদ্রাগত,
ললিতা মন্মথ দুই জনে ||